নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং ইনকাম করার টেকনিক

দিন দিন বেরেই চলছে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার চাহিদা।
কেউ পারছে আবার কেউ হতাস হয়ে বলছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে ইনকাম করা যায় না। কিন্তু ভাই এই জগত থেকে ইনকাম করা এতোটা সহজ না। তবে হ্যা সঠিক গাইড মেনে কাজ করলে এখান থেকে মাসে লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আগে সঠিক ভাবে কাজ এই বিষয় গুলো জানুন এরপর কাজ শিখুন তারপর কাজে নামুন তাহলে দেখবেন আপনিও পৌছে গিয়েছেন সেই লক্ষ টাকা ইনকামের কাছে।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং মানে কি

ফ্রিল্যান্সিং মানে উন্মুক্ত পেশা। ইচ্ছে সাধীন মত কাজ! মন চাইলো করবো না চাইলে করবো না। কেউ আপনাকে জর করে কাজ করাইতে পারবে না। আর আউটসোর্সিং মানে দেশের বাহির থেকে ইনকাম করাকেই বুঝায়। যারা প্রবাসী তারাও কিন্তু আউটসোর্সিং করে টাকা আয় করে। তারা কিন্তু ফ্রিল্যান্সার না। এক কথায় যারা অনলাইনে ইন্টারনেটর মাধ্যমে ইনকাম করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলে।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং ইনকাম হালাল নাকি হারাম

আপনি যেখান থেকেই ইনকাম করেন না কেন সেখানেই হালাল হারাম আছে। ঠিক এখানেও সেম তবে আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে আপনি হালাল পথে কাজ করে আয় করবেন নাকি হারাম পথে। ধরুন আপনাকে একটা ক্লাইন্ট কাজ দিলো তার একটা বিজনেস ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে হবে। কত ডলারে করবেন তার সাথে চুক্তি করে কাজটি করে দিলেন। তাহলে কিন্তু এই ইনকাম টা হালাল পথে হইলো আবার আরেকটা ক্লাইন্ট কাজ দিলো যে তার একটি এডাল ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে হবে এখন যদি সে কাজ করেন তাহলে কিন্তু সেটা হারাম হবে আর যদি না করেন তাহলে তো আর পাপ বা হারাম ইনকাম হলো না।
যে কোন সেকশনে কাজ করেন না কেন সম্পুর্ণ আপনার উপরেই নির্ভর করবে।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়

আমি শুরুতেই বলেছি এখান থেকে লক্ষ টাকা বা এর বেশিও ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনি কোন কাজে ভালো দক্ষ৷ হয়ে থাকেন তাহলেই শুধু সম্ভব। আর লেগে থাকতে হবে হতাশ হউয়া যাবে না।

কেন আউটসোর্সিং ইনকাম করবো

আপনি একটা কথা ভাবুন তো এর চেয়ে মজার আর কোন ব্যাপার আছে। যে ঘরে বসে ইন্টারনেট চালিয়ে আউটসোর্সিং করে ইনকাম করে যায়। ভাবতেই মনের মাঝে একটা ভালোবাসা স্রষ্টি হয়। ধরতে হয় না মামা খালু লাগে না টাকা পয়সা। ভালো একটা কোর্স করেই ইনকাম শুরু করা যায় এই সেক্টরে। আর বর্তমানে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ এই সেক্টরে কাজ করছে।

আউটসোর্সিং ইনকাম এর ভবিষ্যৎ কি

যারা আগে থেকে এক্সপার্ট তাদের বললে হাসবে কারণ যখন তারা ইনকাম শুরু করেছে। তখন থেকেই তারা ভবিষ্যৎ খুজে পেয়েছে। কেউ লক্ষ টাকার গাড়ি আবার কেউ বাড়ি করেছে। তাই বলে আপনি নতুন হিসেবে যে পারবেন না এমনতো কোন মানে নেই। আল্লাহ আপনার রিজেক যেভাবে রেখেছে ঠিক সেভাবেই আপনার ভবিষ্যৎ বানী হবে। তবে এই সেকশনের ভবিষ্যৎ খুব ভালো বর্তমান বাংলাদেশ সারাবিশ্বে ৩য় তম স্থান এ আছে। সামনে আরো এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করতে কি কি লাগে

ধরুন আপনি একজন সার্জারী ডাক্তার এখন একটা অপারেশন করবেন। কিন্তু আপনার কাছে হাতিয়ার গুলো নেই এমতাবস্তায় কি কাজ হবে? কখনই না। কাজের শুরুতে এগুলো আগে ঠিক করে রাখা জরুরী।
১। কম্পিউটারঃ ভালো মানের কম্পিউটার না থাকলে কাজ শিখেও মজা পাবেন না আবার করেও মজা পাবেন না। কি কাজ করবেন সেটার উপর নির্ভর করে কম্পিউটার এর কনফিগারেশন করে নিতে হবে।
২। ইন্টারনেটঃ এমারজেন্সি একটা কাজ করবেন এমন সময় নেট নাই। তাহলে কিন্তু বিশাল ঝামেলায় পড়বেন এতে অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই সবসময় ভালো প্যকেজের বা ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করবেন।

৩। মোবাইল ফোনঃ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা এটি দারা অনেক কিছু সহজেই করা যায়। আবার ধরুন আপনি বাহিরে কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন এমন টাইমে ক্লাইন্ট নক দিলো এখন আপনি কিন্তু মোবাইল দিয়েই রিপ্লে দিতে পাবেন। যদিও বর্তমান সময়ে সবার কাছেই ভালো ভালো স্মার্টফোন তারপড়েও বলে রাখা ভালো।

৪। যায়গাঃ এমনি এক যায়গা থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে মজা পাবেন না। কাজের জন্য সুন্দর একটি যায়গা নির্বাচন করে সেখানে একটি মনোরম পরিবেশ তৈরি করুন। এতে কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে।

৫। দক্ষতাঃ এটা তো মুল কথা তার পড়েও আবার মনে করিয়ে দেই দক্ষতা কিন্তু সবসময় লাগবেই।

আউটসোর্সিং ইনকামের প্রথম ধাপ

অনেকে অনলাইনে দুই একটা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে মনে করে আমি হইয়া গেলাম একজন। কিন্তু সে জানে এই ভুল ধারণা তার করবড় ক্ষতি। আমি আমার ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলি কখনো নিজেকে এই জগতে এক্সপার্ট ভাববেন না। এতে অনেক বড় একটা ক্ষতির মুখ দেখবেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি শুরুতে কাজ শিখি আর নাই শিখি ভেবেছিলাম শেখাতো হলোই এখন শুরু করি। কাজে নেমে দেখি কিছুই পাড়ি না। অর্ডার নেই কিন্তু কম্পিলিট করতে পারি না। মহা বিপদ আমাদের শুরুর সময় হেল্প করার মতো গ্রুপ বা তেমন কেউ ছিলো না। এটাই বলি আগে ভালো কথাও আউটসোর্সিং কোর্স করবেন। এর পর সেগুলো নিয়ে নিজে নিজে কাজ করার চেষ্টা করবেন পাশাপাশি আপনার বসকে দেখাবেন যদি বলে ঠিক আছে তাহলে আস্তে আস্তে আগাতে পারেন। আবার যদি বলে ঠিক নেই তাহলে শেখার পিছনে আরো সময় ব্যায় করুন। নিজে নিজে ভাববেন না ঠিক আছে কাজ শিখা বা কাজের রেজাল্ট বের করা। কারণ নিজের কাজ সবসময় নিজের কাছে সঠিক হয় অন্যর কাছে নাও হতে পারে।

Leave a Comment