সহজেই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো জেনে নিন

যদি আপনি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার স্বপ্ন থাকবে যেন আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো ভাইরাল হয়ে যায়। কেননা যখন আপনার চ্যানেলের কোন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে। তখন সেই ভিডিও গুলো তে নিমেষেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ চলে আসবে। আর আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে যত বেশি ভিউ আসবে। আপনার ইনকাম এর পরিমাণ ঠিক ততো বেশি হবে। কিন্তু সবাই তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওটি ভাইরাল করার স্বপ্ন দেখলেও। সবার এই স্বপ্ন কিন্তু পূরণ হয় না। বরং শুধুমাত্র তাদের ভিডিও ভাইরাল হয়, যারা বেশকিছু নিয়ম অনুসরণ করে থাকে।

সত্যি বলতে যখন আপনি ইউটিউব প্লাটফর্মে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করবেন। তখন আপনি নিজে থেকেই বেশ কিছু টেকনিক খুঁজে বের করতে পারবেন। যে টেকনিক গুলো আসলে একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং এই কারণেই কিন্তু যারা অনেক পুরনো ইউটিউবার। তাদের চ্যানেল গুলো তে যেসব ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই ভিডিও গুলো তে হিউজ পরিমান ভিউ আসে। কিন্তু আপনি যদি একজন নতুন ইউটিউবার হবে থাকেন। তাহলে একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, তাদের তুলনায় আপনার ইউটিউব ভিডিওতে যে পরিমাণ ভিউ আসে তা অতি নগন্য।

তবে এখন হয়তোবা আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে। সেই পুরাতন দক্ষ ইউটিউবার গুলো আসলে কি কি টেকনিক অনুসরণ করে। যার ফলে তাদের ভিডিও গুলোতে এত বেশি পরিমাণে ভিউ আসে। তো আজকের আর্টিকেলে মূলত এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার বেশ কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করব আপনার সাথে। এবং আপনি যদি সেই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার টিপস গুলো কে অনুসরণ করেন। তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনার ভিডিওতে এত বেশি ভিউ আসবে, যা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি।

তবে আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মধ্যে থাকা ভিডিও গুলো কে ভাইরাল করতে চান। এবং সেই ভিডিও গুলিতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এবং আজকের শেয়ার করার টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো অবশ্যই আপনার মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক। এবং সেই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার গোপন টিপস গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল কাকে বলে?

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে আমি অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল সম্পর্কিত সমস্ত গোপন টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো শেয়ার করবো। কিন্তু তার আগে আপনাকে একটা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো যে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল কাকে বলে। অর্থাৎ আমরা কখন একটি ভিডিওকে ভাইরাল বলবো। তো চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল কাকে বলে।

সহজ কথায় বলতে গেলে যখন কোনো একটি ইউটিউব চ্যানেল এর মধ্যে আপলোড করা এক বা একাধিক ভিডিও। একসাথে অনেক গুলো দর্শকদের নিউজ ফিডে প্রদর্শন করে। এবং সেই ভিডিও থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিউ আসে। মূলত সহজ ভাষায় সেই ভিউ এর পরিমাণ কে বলা হয়ে থাকে ভিডিও ভাইরাল। অর্থাৎ আপনার ভিডিওতে হঠাৎ করেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ চলে আসবে।

যদি কোন কারণে আপনার একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সেই চ্যানেলটি নতুন তৈরি করে থাকেন। তাহলে অনেক সময় দেখা যায় যে, শুধুমাত্র একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ফলে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য যে তার টার্গেট দেওয়া থাকে। অর্থাৎ একটি চ্যানেলের মধ্যে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হয়। সেটা কিন্তু একটি ভিডিও থেকেই টার্গেট ফিলাপ করা সম্ভব।

কেননা যখন একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তখন সেই ভিডিও তে এত বেশি পরিমাণে ভিউ আসে যে, আপনি আগে থেকে কখনোই কল্পনা করতে পারবেন না। যখন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, তখন সেই ভিডিওটি প্রচুর পরিমাণ দর্শকদের নিউজফিডে প্রদর্শন করে থাকে। যার কারণে এই অকল্পনীয় ভিডিও ভিউ চলে আসে ।আর এই অকল্পনীয় ভিডিও ভিউ আসার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল।

কেন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবেন?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল কাকে বলে। আশা করি সেই আলোচনা থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তো এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে কেন আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবেন। তাহলে আপনার সেই প্রশ্নের উত্তরে কি বলবেন। থাক! আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না। বরং আমি সেই প্রশ্নের উত্তরটি কে সহজ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। যাতে করে এই বিষয়টি সম্পর্কেও আপনার পরিষ্কার ধারণা চলে আসে।

দেখুন আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার ভালো করেই জানা থাকবে যে, একটি ভিডিও তৈরি করার জন্য কি পরিমাণ সময় এবং শ্রম দিতে হয়। প্রথমত একটি ভিডিও তৈরি করার আগে সেই ভিডিওর স্ক্রিপ্ট লিখতে হয়। এরপর সেই স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ভয়েস দিতে হয়। এবং সেই ভয়েজের সাথে মিল রেখে ভিডিও তৈরি করতে হয়। আর তারপরে কিন্তু সেই ভিডিওটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। তবে একটি চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার আগে কিন্তু এই কাজ গুলো করার জন্য একজন ইউটিউবার কে অনেক বেশি পরিমানে সময় এবং শ্রম দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।

এখন এত বেশি কষ্ট করার পর সেই ইউটিউবার এর মূল সার্থকতা হলো। সেই আপলোড করার ভিডিওতে ভিউ আসা। অর্থাৎ সেই ইউটিউবার যে ভিডিওটি তৈরি করল, সেই ভিডিওটি যখন দর্শকরা দেখবে। তখন মূলত সেই ইউটিউবার এর আসল সার্থকতা খুঁজে পাবে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হবে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার। কারণ যখন আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হবে। তখন কিন্তু আপনি আপনার কষ্টের বিনিময়ে তৈরি করার ভিডিওতে আশানুরূপ ভিউ পাবেন। আর সে কারণেই মূলত আমাদের মত ছোট বড় প্রত্যেকটা ইউটিউবার স্বপ্ন দেখে যে। কোন না কোন একদিন তার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও গুলো ভাইরাল হয়ে যাবে। এবং সেই ভিডিও গুলো তে প্রচুর পরিমাণে ভিউ আসবে।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায়

এতক্ষণ আপনি ইউটিউব ভাইরাল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলেন। প্রথমে আপনি জেনেছেন যে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল কি এবং এর পরে আপনি জানতে পেরেছেন যে, কেন আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা প্রয়োজন। তো এবার আমি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। মূলত এখন আমি আপনাকে সেই টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যে টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে পারবেন। তো চলুন এবার তাহলে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক। এবং আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই গোপন টিপস গুলো মনোযোগ সহকারে দেখার চেষ্টা করবেন।

01- Upload Regular Video

যদি আপনি কোন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। সেটি হলো যে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে। মূলত যখন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে চ্যানেলের দিক থেকে অনেক সিরিয়াস হতে হবে। কেননা আপনি যদি আপনার ইউটিউব ক্যারিয়ারকে সিরিয়াসলি নিতে না পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার এই ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও যখন আপনি রেগুলার ভিডিও আপলোড করবেন। তখন আপনি আলাদা একটাও বেনিফিট পাবেন।

এখন আপনাকে বুঝতে হবে যে, এখানে আমি ইউটিউব কে সিরিয়াসলি নেওয়া বলতে বুঝিয়েছি যে, যখন আপনি একটি চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন সেই চ্যানেলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে। কেননা যখন আপনি আপনার চ্যানেলে রেগুলারিটি মেইনটেইন করে ভিডিও আপলোড করবেন। তখন কিন্তু ইউটিউব মনে করবে আপনি আপনার চ্যানেলে যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিচ্ছেন। এবং আপনি আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে মানুষের ভালো লাগা বিষয় গুলোকে ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আর ঠিক তখনই কিন্তু ইউটিউব আপনার ভিডিওতে ভাইরাল করার সম্ভাবনা থাকবে।

তবে এখন জানার বিষয় হল যে এখানে আমি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা বলতে কি বুঝিয়েছি। মূলত আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে ভিডিও আপলোড করতে হবে। যেমন, আপনি যদি প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করেন, তাহলে চেষ্টা করতে হবে যেন আপনার কোনদিন মিস না হয়। কিন্তু আপনি যদি সপ্তাহে একটা করে ভিডিও আপলোড করেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে প্রতি সপ্তাহে একটা করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

এর মানে হল যে আপনাকে আপনার চ্যানেলের রেগুলারিটি মেইন্টেইন করতে হবে। তবে বিষয়টা আবার এরকম নয় যে, আপনি একদিনে দশটা ভিডিও আপলোড করলেন। কিন্তু পরবর্তী এক মাসেও কোনো ভিডিও আপলোড করলেন না। তাহলে কিন্তু আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। বরং একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। মূলত এটাকেই বলা হয়ে থাকে রেগুলারিটি।

02- Make Attractive Thumbnail

কোন একটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হবে কিনা সেটা কিন্তু 50 পার্সেন্ট নির্ভর করে সেই ভিডিওতে কি ধরনের থাম্বনেইল ব্যবহার করা হয়েছে সেটার উপর। কেননা একজন দর্শকের দিক থেকে আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন। একজন দর্শক সবার আগে তার ব্রাউজার থেকে ইউটিউবে প্রবেশ করে। আর যখন ইউটিউবে প্রবেশ করে, তখন সেই দর্শক ক্রমাগত ভাবে ইউটিউব নিউজ ফিড থেকে নিচের দিকে স্ক্রল করতে থাকে। এবং স্ক্রল করতে করতে যখন কোন একটি ভিডিও থাম্বনেইল তার ভালো লাগে। তখন কিন্তু সেই ধর্ষক তার নিউজ ফিড স্ক্রল করা বন্ধ করে দেয়। আর সেই ভিডিওর মধ্যে কি আছে তা দেখার জন্য উক্ত থাম্বনেইল এর ওপর ক্লিক করে।

এখন আপনি যদি আপনার ভিডিও কোয়ালিটি অনেক ভাল করেন। আপনার ভিডিওর মধ্যে অনেক ইনফরমেশন যুক্ত করেন। কিন্তু আপনি যদি সেই ভিডিও তে থাকা থাম্বনেইল কে আকর্ষণীয় করতে না পারেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার Youtube Video Viral হওয়ার চান্স অনেকাংশেই কমে যাবে। কেননা দর্শকদের আকর্ষিত করার সর্বপ্রথম যে ধাপ আছে। সেটি হলো সেই ভিডিওতে থাকা থাম্বনেইল। আর সে কারণেই মূলত আপনাকে এমন একটি থাম্বনেইল তৈরি করতে হবে। যেটা আপনার ভিডিওর সাথে রিলেটেড এবং সেই থাম্বনেইল টি যেন দর্শকদের নজরে আসে এবং। সেই থাম্বনেইল দেখার পরেই যেন আপনার ভিডিওতে ক্লিক করার জন্য আগ্রহী হয়।

 

কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখবেন সেটি হলো যে আপনার ভিডিওতে থাকা থাম্বনেইল কে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে। আবার কখনই সেই থাম্বনেইল কে ক্লিকবেট করবেন না। কেননা আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিওর সাথে সংযুক্ত থাকা থাম্বনেইল কে ক্লিকবেট করেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে। কারণ এই ধরনের ক্লিকবেট থাম্বনেইল যুক্ত ভিডিও ইউটিউব ততটা প্রাধান্য দেয় না। যতটা প্রাধান্য দেয় একটি ন্যাচারাল ইউটিউব থাম্বনেইল যুক্ত থাকা ভিডিও গুলো কে। তাই সবার আগে একটি ভিডিওতে আপনি যতটা গুরুত্ব এবং সময় দিয়ে তৈরি করেন। ঠিক ততটা গুরুত্ব এবং সময় দিয়ে ইউটিউব ভিডিও থাম্বনেইল তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

03- Improve Audio Quality

কোন একটি ভিডিওর অন্যান্য সব অংশ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সেই ভিডিওতে যুক্ত থাকা অডিও। মূলত যখন আপনি একটি ভিডিও দেখবেন তখন অবশ্যই সেই ভিডিওটি কতক্ষণ পর্যন্ত দেখবেন সেটা কিন্তু নির্ভর করে উক্ত ভিডিওতে কি ধরনের অডিও যুক্ত করা আছে। এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন। আপনি এমন একটি ভিডিও তৈরি করলেন। যে ভিডিওতে অনেক ভালো ভালো ইনফরমেশন শেয়ার করা আছে। এবং যেগুলো মানুষের খুব প্রয়োজন। কিন্তু যখন মানুষ আপনার ভিডিওতে আসলো এবং সেই ভিডিওতে এসে দেখল যে, আপনার ভিডিওতে থাকা অডিও ফাইল টি একদমই খারাপ কোয়ালিটির। তখন কিন্তু আপনার ভিডিওতে আসা সেই মানুষ গুলো আর বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকবে না।

আর এভাবে যখন দর্শকরা আপনার ভিডিওতে আসার পর কিছুক্ষণ পর আপনার ভিডিও ছেড়ে চলে যাবে। তখন কিন্তু সেই ভিডিওর জন্য ইউটিউব এর কাছে একটা নেগেটিভ সিগনাল বহন করবে। অর্থাৎ ইউটিউব ভাববে যেহেতু মানুষ আপনার ভিডিওতে আসার পরেই চলে যাচ্ছে। তার মানে আপনার ভিডিওতে তেমন কোনো কিছুই নেই যেটা দর্শকদের প্রয়োজন রয়েছে। আর সে কারণে ইউটিউব কখনও চাইবেনা এই ধরনের ভিডিও গুলো কে ভাইরাল করতে। তাই আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার ইউটিউব ভিডিও তে থাকা অডিও কোয়ালিটি অনেক মান সম্মত হতে হবে।

04- Make Eye Catching Video Title

উপরের আলোচনায় আপনি জেনেছেন যে একটি ভিডিওতে থাম্বনেইল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ একজন দর্শক সবার আগে আপনার ভিডিওতে থাকা থাম্বনেইল দেখে আকর্ষিত হয়। এবং এর পরে কিন্তু আপনার ভিডিওতে থাকা টাইটেল এর মধ্যে কি লেখা আছে সেটি দেখার চেষ্টা করে। এবং যখন আপনার ভিডিওর থাম্বনেইল এবং টাইটেল দুটো দেখার পর, তার কাছে আপনার ভিডিওর টপিকটি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। ঠিক তখনই কিন্তু সেই দর্শক আপনার ভিডিওতে থাকা মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার জন্য ক্লিক করে থাকে। সেক্ষেত্রে হয়তো বা আপনি এটা খুব সহজ ভাবেই বুঝতে পেরেছেন যে, কোনো একটি ভিডিওতে থাকা টাইটেল কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর সে কারণেই আপনার ভিডিওতে থাকা টাইটেল কে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে। যেন সেই টাইটেল দেখার পর দর্শকদের মনে আপনার ভিডিও সম্পর্কে নানা রকম প্রশ্ন জাগে। আপনার ভিডিওতে থাকা টাইটেল দেখার পর তাদের মনে যেন এক ধরনের কৌতূহল কাজ করে। আর যখন আপনি দর্শকদের তেমন আগ্রহ এবং কৌতূহল সৃষ্টি করতে পারবেন। ঠিক তখনই কিন্তু আপনার ভিডিও তে ক্লিক করার জন্য দর্শকরা অনেক বেশি আগ্রহী হবে। আর এভাবে যখন দর্শকরা বারংবার আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য ক্লিক করবে। ঠিক তখনই কিন্তু ইউটিউব এর কাছে এটা পজিটিভ সিগন্যাল হিসেবে বহন করবে।

কেননা ইউটিউব দেখবে যে আপনার ভিডিওটি দর্শকদের নিউজ ফিড এ শো করার কারণে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য ক্লিক করছে। তখন ইউটিউব আরো বেশি মানুষের কাছে আপনার ভিডিও কে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। এবং এভাবে যত বেশি দর্শকরা ক্লিক করবে ইউটিউব ততবেশি মানুষদের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবে। ঠিক এভাবেই একটা সময় আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যাবে। এবং আপনার ভিডিওতে খুব সহজেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ চলে আসবে।

05- Proper Keyword & Tag Placement

একটি ইউটিউব ভিডিওতে অন্যান্য বিষয় গুলোকে আপনি যেমন গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করবেন। ঠিক তেমনি ভাবে সেই ভিডিওতে থাকা কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ কে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করতে হবে। কেননা একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পেছনে এই বিষয় গুলো কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি একটি ভিডিও তৈরি করলেন অনলাইন ইনকাম নিয়ে। অর্থাৎ এই অনলাইন ইনকাম হলো আপনার ভিডিওতে থাকা মূল কিওয়ার্ড। এখন আপনাকে এই কী-ওয়ার্ড কে আপনার ভিডিওর মধ্যে এমন ভাবে প্লেসমেন্ট করতে হবে। যেন সেটি নির্দেশ করে যে আপনি এই ভিডিওটি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে তৈরি করেছেন।

প্রথমত এই অনলাইন ইনকাম কী-ওয়ার্ডটি আপনার ভিডিওতে থাকা টাইটেলে অবশ্যই প্লেসমেন্ট করতে হবে। কেননা এর ফলে ইউটিউব এবং দর্শকরা সেই টাইটেল দেখে বুঝতে পারবে যে। আপনি সেই ভিডিওটি অনলাইন ইনকাম এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছেন। এর পরবর্তী ধাপে আপনার ভিডিওর শুরুর অংশে এই অনলাইন ইনকাম শব্দটি কয়েক বার ব্যবহার করতে হবে। যেন ইউটিউব অ্যালগরিদম সেটা বুঝতে পারে যে আপনি এই ভিডিওটি অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে লিখেছেন। এর পাশাপাশি ইউটিউব কে আরো পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ভিডিওতে থাকা ট্যাগ এর মধ্যে এই অনলাইন ইনকাম শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।

কেননা আপনি যদি ইউটিউব কে বুঝাতে পারেন যে আপনি সেই ভিডিওটি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে লিখেছেন। তাহলে ইউটিউব আপনার ভিডিও সেই মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। যারা মূলত ইউটিউবে প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকাম করার ভিডিও গুলো দেখতে চায়। আর তাদের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছানো মানে তারা অবশ্যই আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য ক্লিক করবে। আর যদি দর্শকরা আপনার ভিডিওতে ক্লিক করে, তাহলে ইউটিউব আরো বেশি মানুষের কাছে আপনার ভিডিওটি পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে একটা সময় আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে।

05- Make Video With Trending Topic

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারণ, ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সবচেয়ে অন্যতম পদ্ধতি হলো ট্রেন্ডিং টপিকস নিয়ে ভিডিও তৈরি করা। কারণ যখন কোনো একটি বিষয়ে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। তখন কিন্তু মানুষ সেই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে থাকে। এখন আপনি যদি সেই বিষয়টি নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। তাহলে স্বাভাবিক ভাবে আপনার সেই ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণ কেউ আসবে। সেজন্য সবার আগে আপনাকে ট্রেন্ডিং টপিক গুলো কে খুঁজে নিতে হবে। এবং তাৎক্ষণিক ভাবে সেই ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে। আর আপনি যদি এভাবে বারংবার ট্রেন্ডিং নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আপনার সেই ভিডিও গুলো ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

এখন হয়তো বা আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে যে, আপনি একজন ইউটিউবার হিসেবে এই ট্রেন্ডিং টপিক গুলো কে কিভাবে খুজে পাবেন। তো যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে সবার আগে আপনি এই ধরনের ট্রেন্দিং টপিক গুলোকে খুজে পাওয়ার জন্য ফেসবুক ব্যাবহার করবেন। কারণ ফেসবুকে যখন কোন বিষয় ট্রেন্ডিংয়ে যায়। ঠিক তখনই কিন্তু মানুষ সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে থাকে। এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের ট্রেন্ডিং টপিক খোঁজার মতো টুলস রয়েছে। আপনি চাইলে সেই টুলস গুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই চলমান সময়ের ট্রেন্ডিং টপিক গুলোকে খুজে নিতে পারবেন। এবং সেই টপিক এর ভিডিও তৈরি করে আপনার ভিডিওতে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ নিয়ে আসতে পারবেন।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার টিপস

প্রিয় পাঠক, উপরের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি সেই উপায় গুলো আপনি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। এবং সর্বদাই চেষ্টা করবেন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য উপরের উপায় গুলো কে অনুসরণ করার। তবে এবার আমি আপনাকে সহজ কিছু টিপস দিব। যে টিপস গুলো অনুসরণ করলে আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। তবে জানার বিষয় হল যে সেই টিপস গুলো কি কি। এবার তাহলে সেগুলো সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়া যাক।

  1. যখন আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। তখন অবশ্যই সেই চ্যানেলে কোন নির্দিষ্ট একটা টপিকে ভিডিও আপলোড করবেন। এবং সেটা আপনি আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিবেন।
  2. যেমন ধরুন আপনি যদি শিক্ষা বিষয়ক একটি চ্যানেল তৈরি করেন। তাহলে সেই চ্যানেলে সবগুলো ভিডিও শিক্ষা নিয়ে তৈরী করার চেষ্টা করবেন।
  3. আবার আপনি যদি সেই চ্যানেলে খেলাধুলা বিষয়ক ভিডিও আপলোড করেন। তাহলে এর পরবর্তী সবগুলো ভিডিও সেই খেলাধুলা বিষয়ক তথ্য নিয়ে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন।
  4. যখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন ভিডিও আপলোড করবেন। তখন চেষ্টা করবেন সেই ভিডিও গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার। যেমন, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি।
  5. আপনার ভিডিওতে থাকা টাইটেল অনেক সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করবেন। যেন দর্শকরা সেই টাইটেল খুব কম সময়ের মধ্যে পড়তে পারে।
  6. আপনি আপনার ভিডিওর টাইটেল অবশ্যই আপনার মূল কিওয়ার্ড কে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  7. যখন আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য থাম্বনেইল তৈরি করবেন তখন সেই থাম্বনেইল এর মধ্যে অতিরিক্ত লেখা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং খুব কম লেখা দেয়ার চেষ্টা করবেন যেন দর্শকরা খুব সহজেই এবং কম সময়ের মধ্যে আপনার থাম্বনেইল এর মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে পারে।
  8. আপনার ভিডিওতে থাকা থাম্বনেইল কিংবা টাইটেল এর মধ্যে এমন কিছু লিখবেন না যেটা আপনার ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
  9. আপনার ভিডিওর মুল কিওয়ার্ড কে অবশ্যই আপনার ভিডিওতে থাকা ট্যাগ এর মধ্যে ব্যবহার করবেন। এবং সেই ট্যাগ অনুযায়ী মানুষ আর কি কি লিখে ইউটিউবে সার্চ করে, সেগুলো আপনার ট্যাগ এর মধ্যে ব্যবহার করবেন।
  10. আপনার ইউটিউব ভিডিওর প্রথম 20 সেকেন্ড এতটা আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করবেন যেন দর্শকরা সেই প্রথম 20 সেকেন্ড না দেখেই চলে না যায়। যদি আপনি সেই সময়ে আপনার ভিডিওতে দর্শকদের ধরে রাখতে পারেন। তাহলে তা ইউটিউব এর কাছে পজেটিভ সিগন্যাল বহন করবে।

আর্টিকেল এর শুরুতেই আমি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে বলেছি। তবে এই উপায় গুলো জানার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু টেকনিক রয়েছে যেগুলো বড় বড় ইউটিউবাররা অনুসরণ করে থাকে। আর সেগুলো নিয়ে আমি উপরে দশটি পয়েন্ট সহ আলোচনা করেছি। যদি আপনি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই আলোচিত টেকনিক গুলোর দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবেন। যেটা আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, যদি আপনি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি হয়তোবা একটা বিষয় অবশ্যই জেনে থাকবেন যে। ইউটিউব প্লাটফর্মে নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজের মধ্যে ধৈর্য থাকতে হয়। মূলত এই ধৈর্য নিয়ে আপনাকে ইউটিউব প্লাটফর্মে অবিরাম কাজ করে যেতে হবে। আর যখন আপনি আপনার ধৈর্য নিয়ে কাজ করবেন। ঠিক তখনই কিন্তু আপনি কোন একটা সময়ে গিয়ে ইউটিউব প্লাটফর্মে নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে পরিচিত করতে পারবেন।

তবে আপনি তখনই নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে পরিচিত করতে পারবেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোন ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে। আর আপনার একজন সফল ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্নকে পূরণ করার লক্ষ্যে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার যাবতীয় তথ্য গুলোকে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই টিপস এবং ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনার ইউটিউব ভিডিও অবশ্যই ভাইরাল হবে।

Leave a Comment