ছাত্রদের জন্য পার্টটাইম জব। কি কি পার্ট টাইম জব করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা

স্টুডেন্ট লাইফটা বড়ই কঠিন। আর এই সময়ে ।যদি পারিবারিক কোন সমস্যা থাকে, মানে যদি পরিবার আর্থিক সমস্যায় থাকে, তখন নিজের জীবনটা নিয়ে বড় হয়ে ওঠা অত্যান্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। আর এই সময়ে সবাই ই কম বেশি কাজ করতে চেষ্টা করে নিজেদের খরচ বা পরিবারের পাশে দাড়ানোর মতো কিছু টাকা আয় করার জন্য। আর আমরা যখন গুগলের সার্স লিস্ট চেক করি, তখন সবচেয়ে বেসি আমাদের দেশ থেকে এই ধরনের সার্স হিস্টরি দেখতে পাই।

আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট টা পুরো পড়ে নিবেন। এই পোস্ট টা স্টুডেন্ট বা বেকারদের অত্যান্ত সহযোগী হবে বলে আশা করি।
যদি আপনি পরিবারের পাশে দাড়াতে চান বা, নিজেদের খরচ নিজেরাই চালাতে চান, তাহলে আপনাকে বলছি , এই পোস্ট থেকে কিছু একটা ভালো করে ধরে নিন।
আমরা লক্ষ করলে বিদেশের দিকে, আমাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যায় সমাজটা। বিশ্বের সমস্ত উন্নত দেশ গুলোতেই কিন্তু ১৮ এর উপরের সকল ছেলে মেয়েদের কোন না কোন একটা জব থাকে। সেটা হোক ইন্টারনেট বা ইন্টারনেট ছাড়া। তারা অনেক সময়ে দেখা যায় , অনেক ভালো বা ধনী পরিবারের সন্তান। তার পরেও কিন্তু তারা কাজ করে। এর মানে এই নয় যে তারা ছোট বা বোকা। এর মানে এটাই বোঝায় তারা , যে আমরা নিজেদের ব্যাবহার করতে জানি।

আমরা কখনোই কারো ওপর পত্তাশি নয়। আর এদিকে, এটাও বোঝায় যে শ্রম দিলেই ছোট হয় না। বরং শ্রম দিলে যোগ্যতা বাড়ে। কিন্তু তারা কখনোই কাজ করতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি করে না। মানে টাকার লোভে পড়ে, বা কাজের চাপে নিজেদের পড়ার ক্ষতি করে না।

ঠিক সেই বিষয়ের প্রতি লক্ষ করলেই আমাদের জন্য শ্রম দেওয়া অত্যান্ত সহজ। কে কি বলবে , তাতে কি আসে যায়। জীবন আমার , আর এই জীবনে ক্ষতি হলে আমার ই হবে , আর লাভ করতে পারলেও আমার ই থাকবে। তাই যে ভাবেই হোক নিজের উন্নতি করতে হবে। কে কি বলবে , তার দিকে তাকানোর সময় নেই।

কিভাবে পার্ট টাইম কাজ করে আয় করা যায়

পার্ট টাইম জব করে আয় করার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। তার মধ্যে ২ টা সাইড রয়েছে। একটা সাইড হলো ইন্টারনেট সাইড মানে যাকে আমরা অনলাই বা ইন্টারনেট ইনকাম বলে চিনে থাকি। আরেকটা বিষয় হচ্ছে , অফ লাইন বা ইন্টারনেটের বাহিরে। মানে সেটা যে কোন ধরনের কাজ হতে পারে। যেমন টিউশনি, রেস্তরার শেফ, কম্পিউটরের দোকানে তাদের সাথে কাজ করতেও পারেন, বা অনাদার ওয়ে রয়েছে, যা আপনি খুজে বের করে নিতে পারেন।

আর অন্যটা ইন্টারনেট ইনকাম ওয়ে। তবে ইন্টারনেট ইনকাম নিয়ে পোস্ট করার কারনে এটা শুধু একটু জানালাম। আর ইন্টারনেট ইনকাম নিয়ে বিস্তারিত নিচের দিকে বলে দিব। আর এই অফলাইন বিষয়টা শেয়ার করার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল , যারা ইন্টারনেট সমন্ধে বুঝে কম , তাদের জন্য।

ইন্টারনেটে কাজ করে ইনকাম

ইন্টারনেটে হাজার হাজার রকমের কাজ রয়েছে। আর ইন্টারনেট বা অনলাইনের সকল কাজ ই কিন্তু পার্ট টাইম কাজের ভেতরে গন্য করা যায়। কেননা এখানে একটিভ হয়ে কাজ তখন ই করা যায় , বা করতে হয়। যখন আপনি কোন একটা কম্পানির কাজ নিবেন। মানে ধরেন , আপনি আমার কাছে কোন একটা কাজ একবার করেছেন , আর তখন আপনার কাজ আমার কুব ভালো লেগেছে , তাই আমি আমার কম্পানির সাথে পরিচিত করিয়ে আপনাকে ওই কাজ টা দিয়ে দিলাম বা আমার কোন কম্পানি না থাকলে, আমার নিজশ্ব কাজ হলে, আমি নিজেই আমার কাজ টা সবসময়ের জন্য আপনাকে করতে বললাম।

আর যদি আপনি কখনো, এই ধরনের কোন ডিল পান, তাহলে আপনি সেটা সেই ভাবে করতে পারবেন। কিন্তু বাকি কাজ গুলো প্রায় ই পার্ট টাইম। মানে আপনার ইচ্ছে মতন। মন চাইলে করলেন আর না চাইলে করলেন না।

ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব তা কে ই বা না জানে। এটা সবার ই জানা বিষয়। কিন্তু সমস্যাটা সবাই জানলেও কত জনে পারে আয় করতে। বিষয় টা যে সবার ভাগ্যে থাকে না, এমন কিছু না। বিষয়টা হচ্ছে সবাই পারে না। বা সবাই টিকে থাকে না। আর না টিকে তাকার অন্য তম কারন হলো, তারা চেষ্টা বা স্রম দিতে আগ্রহী নয়। তারা শুধু শুধু বসে বসে টাকা পেতে চায়।

অনেকটা সেই পোস্টের মতো। একটা ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে। হঠাৎ একদিন একটা হাসির পোস্ট করেছিল, মানে হাসির হলেও কথাটা বাস্তব। সে যেমন ভেবেছিল। সে বলেছিল , আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি , তখন সেই বই গুলোতে সুধু আপওয়ার্ক , ফ্রিল্যান্সার , ইনহান্স ইত্যাদি সাইটের সমন্ধে পড়তাম। আর তখন মনে করতাম যে, ফ্রিল্যান্সার ওয়েব সাইটে বা ওই ধরনের সাইট গুলোতে শুধু একাউন্ট করে রাখলেই টাকা ইনকাম হতে থাকে। মানে কোন কাজ করা ছাড়াই টাকা আসতে থাকে।

তাই , এই ধরনের ধারনায় যারা আসেন, তারা কখনোই আমার মনে হয় , ইন্টারনেট বা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না। যদি এমন কোন ধারনা নিয়ে থাকেন , তাহলে হয় তো ধারনাকে পাল্টাতে হবে, না হয় অনলাইন ছেড়ে অফলাইনে কোন একটা কাজ ধরেন। কেননা ইন্টারনেট জীবনের প্রথম ধাপটা অত্যান্ত কঠিন। আর এই প্রথম ধাপে টিকতে পারলেই আপনি সবকিছুতে সহজ ভাবে সফল হতে পারবেন।

ইন্টারনেটের আজ কয়েকটা কাজ তুলে ধরবো, যে গুলো থেকে পার্ট টাইম কাজ করেও ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সেগুলো হলো

১. লেখালেখি
২. টাইপিং বা ক্যাপচা
৩. সার্ভে করে
৪. মার্কেটিং করে
৫. ফেসবুক পেজ সেল করে
এই ৫ টা বিষয়ের যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করলেই কিন্তু আপনি অনেক দ্রুত সফল হতে পারবেন। নিচের দিকে এই বিষয় গুলো পুরো ভালোভাবে স্পস্ট করে দিব।

লেখালেখি করে ইনকাম

লেখালেখি বলতে, আবোল তাবোল লিখলে তো আর হবে না। তবে যদি আবোল তাবোল কবিতাটি লিখেন, তা হলে সমস্যা নেই। কিন্তু কোথায় লিখবেন। বা কোথায় লিখলে বেশি আয় , সেটা তো জানতে হবে।

আপনি যদি বাংলা বা ইংরেজিতে লেখালেখি করতে পারেন, যেমন- ব্লগ পোস্ট , টেক নিউস , গল্প , কবিতা , উপন্যাস, সাস্থ , কাহিনি ইত্যাদি বিষয়ে লিখতে পারলেই আপনি বাংলাদেশের যে সকল সাইট রয়াছে যেখানে ব্লগ লিখে আয় করার সুযোগ দেয়। তাদের সাইটে একাউন্ট করে আয় করতে পারবেন। যে সাইটে লিখে আয় করতে পারবেন, এমন কয়েকটা সাইট নিচে দেওয়া হলো।
টেক টিউনস
গ্রাথোর
ইনকাম টিউনস
জেআইটি
রোর বাংলা
পরিবর্তন ডট কম
ইত্যাদি

এ ছাড়াও আপনি আপনার লেখা গুলো একটা পি ডি এফ ফাইল করে অ্যামাজন বুক স্টোরে আপলোড করতে পারেন। আর অ্যামাজন বুক স্টরে আপলোড করলে , সেটা ইংরেজিতে হলে ভালো হবে। অ্যামাজন বুক স্টোর থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ বুক ডাউনলোড হয়। সেখানে বুক পাবলিশ করলে, যত বেশি ডাউনলোড হবে , তত বেশি ইনকাম হবে। আর এটা লাইফ টাইম বা সারা জীবন পাবেন।

আর সব শেষে , যদি আপনি সামান্য কিছু টাকা দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসে একটা সাইট তৈরি করেন বা ব্লগারেও ফ্রিতে একটা সাইট তৈরি করেন, সেখান থেকেও এডসেন্স অ্যাপলাই করে বা অন্য কোন অ্যাড নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে , ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

টাইপিং বা ক্যাপচা করে ইনকাম

কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেখানে ক্যাপচা করে টাকা আয় করা সম্ভব। আর সেই সাইট গুলোতে প্রচুর পরিমানে ক্যাপচা পাবেন, টাইপিং ক্যাপচা , রি ক্যাপচা , হুম্যান ক্যাপচা ইত্যাদি ক্যাপচা সলভ করে ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি মনে করেন যে, মোটামুটি একটা আর্নিং হলেই চলবে, তাহলে ক্যাপচায় কাজ করতে পারেন।
ক্যাপচা করার জন্য সাইট রয়েছে অনেক, তার মধ্যে অন্য তম- টু ক্যাপচা , ক্যাপচা সলভ ইত্যাদি। তবে যদি আপনি লংটাইম ইন্টারনেটে কাজ করতে চান, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ভালো কোন কাজ কুজে বের করুন।এই ধরনের ছোট ছোট কাজ করবেন না। এটা শুধউ পার্ট টাইমের জন্য। লংটাইমের জন্য না। আর ভালো কাজ খোজার জন্য আমাদের এই ব্লগের অন্য পোস্ট গুলো দেখতে পারেন।

সার্ভে করে ইনকাম

সার্ভে নিয়ে আমরা অলরেডি একটা পোস্ট করে রেখেছি। যারা সামান্য সময় বা পার্ট টাইম কাজ করতে চান , তারা সার্ভে করেও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু লং টাইম কাজ করতে হলে, অবশ্যই অবশ্যই আমাদের আগের সার্ভে নিয়ে করা পোস্ট টা দেখে আসুন।
আর পার্ট টাইম জবের জন্য এটা অন্যতম একটা কাজ। এখানে রোজ ২-৩ ঘন্টা কাজ করেও ৫০০-১০০০ এর বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। আর কাজটাও একদম ইজি। তবে কাজ করার আগে অবশ্যই সাইট সমন্ধে ভালো করে যেনে নিবেন। সাইট টা কি পেমেন্ট করে কিনা। বা এখনো মার্কেটে আসে কি না।

মার্কেটিং করে ইনকাম

মার্কেটিং করে ইনকামের তো অনেক সিস্টেম রয়েছে। তার মধ্যে অন্য তম একটা বিষয় আজ শেয়ার করবো। তবে যারা আমাদের , ডিজিটাল মার্কেটিং পোস্ট টা পড়েন নাই। তারা এখনি আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং পোস্ট টা পড়ে আসুন।
মার্কেটিং এর মাধ্যমে , আপনি খুব সহজ আর সঠিক একটা কাজ করতে পারেন। সহজ ভাবে বলতে গেলে, আপনি এফেলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এফেলিয়েট মার্কেটিং করতে দারাজ, বিডিশপ, অ্যামাজন ইত্যাদি সাইট নিয়ে করতে পারেন। তবে সব সাইটে এক সাথে কাজ করতে গেলে কিন্তু কিছুই করতে পারবেন না। সর্বোচ্চ ২টা সাইটে কাজ করতে পারেন। আর যে কোন ৫ টা পন্যের উপর কাজ করবেন। মানে ইলেক্ট্রনিক হোক বা পোষাক হোক বা অন্য কোন পন্য হোক।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয়

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করে একদম ই সহজ একটা পথ। আর পেজে কাজ করলে খুব দ্রুতই ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
একটা পেজ আপনার ইনকামের জন্য রেডি করতে হলে, প্রায় ১ মাস বা তার চেয়ে একটু বেসি সময় লাগতে পারে। তবে নিয়মিত কাজ করতে হবে। পেজ থেকে ইনকামের অনেক গুলো উপায় রয়েছে। পেজে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। আবার পেজ থেকে মার্কেটিং বা সেল করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এর পরে পেজ সেল করেও ইনকাম করতে পারে।
যদি আপনি পেজ সেল করে করে ইনকাম করতে চান। তাহলে আগে আপনার ভালো মানের একটা পেজ করতে হবে। এবং সেখানে নিয়মিত কাজ করে অনেক ফলো বানাতে হবে। তার পরে অন্য পেজ খুলে আপনি শুধু ওই পেজের মাধ্যমে প্রোমট করে নিবেন। আর ১০ হাজারের মতো হয়ে গেলেই সেল করে দিতে পারবেন।
আর এই কাজটা গ্রুপের মাধ্যমেও করা সম্ভব। মানে ভালো মানের একটা ফেসবুক গ্রুপ থাকলেও হবে। আপনি চাইলে ২ মাসের মধ্যে ভালো একটা ফেসবু গ্রুপ ও করে নিতে পারবেন। আর এই কাজ করে অনেকেই প্রচুর লাভবান হচ্ছে।
এই প্রযন্ত যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব গুলোই কিন্তু কার্যকর। এই বিষয়ে কাজ করে অনেকে ই অনেক টাকা আয় করতেছে। তাই এই বিষয়ে পোস্ট করলাম। আপনিও চাইলে এই বিষয়ের ওপর কাজ করতে পারেন। ভালো থাকবেন। আর আমাদের এই ব্লগ সাইটের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment