প্রাচীন বাংলা সাধারণ জ্ঞান

প্রাচীন বাংলা সাধারণ জ্ঞান 

১/ গুপ্তযুগে বঙ্গের ভাগ কয়টি ছিল — দুটি।
২/ গুপ্ত বংশের রাজত্বকাল স্থায়ী হয়েছিল — ৩২০-৫৫০ খ্রিঃ।
৩/ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা — ১ম চন্দ্রগুপ্ত (শ্রী-গুপ্ত)।
৪/ গুপ্ত সাম্রাজ্যের গোড়া পত্তন হয় — ৩২০ খ্রিঃ।
৫/ গুপ্ত বংশের মধ্যে স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা ছিলেন — ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
৬/ ১ম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল — রাজাধিরাজ।
৭/ গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা — সমুদ্রগুপ্ত।
৮/ সমূদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহন করেছিল — ৩৩৫ খ্রিঃ।
৯/ সমূদ্রগুপ্ত বছর রাজ্য শাসন করেন — ৪৫ বছর (৩৮০ খ্রিঃ পর্যন্ত)।
১০/ সমূদ্রগুপ্তের পিতা ছিলেন — ১ম চন্দ্রগুপ্ত।
১১/ মহাকবি কালিদাস সভাকবি ছিলেন — ২য় চন্দ্রগুপ্ত রাজার।
১২/ বিক্রমাদিত্য উপাধী ছিল — ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
১৩/ ২য় চন্দ্রগুপ্ত-এর রাজত্বকাল ছিল — ৩৮০-৪১৩ খ্রিঃ।
১৪/ অজান্তার গুহাচিত্র কোন যুগের সৃস্টি — গুপ্তযুগের।
১৫/ গুপ্ত বংশের কোন সম্রাটকে ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হত — সমুদ্রগুপ্তকে।
১৬/ সর্ব প্রথম কোন চীনা পরিব্রাজক ভারতবর্ষে আগমন করেন — ফা-ইয়েন।
১৭/ ফা-হিয়েন কার সময়ে ভারতবর্ষ পরিভ্রমন করেন — ২য় চন্দ্রগুপ্ত।
১৮/ ফা-হিয়েনের ভারত পরিভ্রমনের কারণ কি ছিল — বৌদ্ধ ধর্মপুস্তক ‘বিনায়াপিটক’ এর মূল রচনা সংগ্রহ করা।
১৯/ ফা-হিয়েন কত বছর ভারতবর্ষে অবস্থান করেন — তিন বছর।
২০/ গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে কখন — স্কন্দগুপ্তের বিক্রমাদিত্যের জীবনাবসনে।
২১/ কখন সম্রাট আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে আগমন করেন — খ্রীস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে।
২২/ আলেকজান্ডারের গৃহ শিক্ষক কে ছিলেন — এরিস্টটল।
২৩/ স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন — শশাঙ্ক।
২৪/ গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় — ৬০৬ সালে।
২৫/ গৌড় রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল – কর্ণসুবর্ণ।
২৬/ গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন — শশাঙ্ক।
২৭/ গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা ছিলেন — শশাঙ্ক।
২৮/ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল – – কর্ণসুবর্ণ।
২৯/ শশাঙ্কের উপাধি ছিল – – মহাসামন্ত।
৩০/ হিউয়েন সাঙ বৌদ্ধধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অবিহিত করেছেন – – শশাংঙ্ককে।
৩১/ শশাঙ্কের পর গৌড় রাজ্য দখল করেন – – হর্ষবর্ধন।
৩২/ আরবরা সিন্ধু আক্রমন করে – – ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে।
৩৩/ পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা — গোপাল।
৩৪/ গোপালের রাজত্বকাল ছিল — ৭৫০ থেকে ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ২০ বছর।
৩৫/ পাল বংশের রাজাগণ বাংলায় কত বছর রাজত্ব করেছেন — প্রায় চারশ বছর।
৩৬/ পাল রাজারা যে ধর্মাবলম্বী ছিলেন — বৌদ্ধ।
৩৭/ বাংলার দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ — পাল বংশ।
৩৮/ পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে — ধর্মপাল।
৩৯/ গোপালের পরে বঙ্গ দেশের সিংহাসনে আসীন হন — ধর্মপাল।
৪০/ ধর্মপাল বৌদ্ধ ধর্মপ্রসারে যে মন্দির স্থাপন করেন — ১০৭ মন্দির সম্পন্ন বিক্রমশীলা বৌদ্ধ বিহার, পাহাড়পুরের সোমপর বিহার, ময়নামতি বিহার ইত্যাদি।
৪১/ ধর্মপালের রাজত্বকাল ছিল — ৭৭০ থেকে ৮১০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্তু ৪০ বছর।
৪২/ নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার এর প্রতিষ্ঠাতা — ধর্মপাল।
৪৩/ লৌসেন (Lausen) হলো — রাজা দেবপালের (৮১০-৮৫০ খ্রিঃ) সেনাপতি।
৪৪/ উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ বলা হয় — দেবপালের শাসনামলকে।
৪৫/ পাল সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি ঘটে — ১১২৪ খ্রিষ্ঠাব্দে।
৪৬/ চন্দ্রবংশের শাসনকাল বিস্তৃত ছিল — ১০ম- ১১শ শতক পর্যন্ত।
৪৭/ চন্দ্রবংশের প্রথম শক্তিশালী রাজা — ত্রৈলোক্যচন্দ্র।
৪৮/ পরমেশ্বর, পরম ভট্টারক, মহারাজাধিরাজ উপাধী ছিল — শ্রীচন্দ্রের।
৪৯/ শ্রীচন্দ্র রাজত্ব করেছেন — ৯৩০-৯৭৫ খ্রিঃ সময় পর্যন্ত।
৫০/ বেদ রাজবংশের রাজাদের রাজধানী ছিল — দেবপর্বত।
৫১/ দেবপর্বত অবস্থিত — কুমিল্লার ময়নামতি পাহাড়ের দক্ষিনাংশে।
৫২/ সেন বংশের প্রথম রাজা ও প্রতিষ্ঠাতা — সামন্ত সেন।
৫৩/ সেন রাজাদের পূর্ব পুরুষগণ যে দেশের অধিবাসী ছিলেন — দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক।
৫৪/ সেন বংশের সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাজা — বিজয় সেন।
৫৫/ সেন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট — বিজয় সেন।
৫৬/ যার শাসনামলে বাংলা সর্বপ্রথম এক শাসনাধীন আসে — বিজয় সেনের।
৫৭/ বিজয় সেনের রাজত্বকাল বিস্তৃত ছিল — ১০৯৮-১১৬০ খ্রিঃ সময় পর্যন্ত।
৫৮/ বিজয় সেনের দ্বিতীয় রাজধানী ছিল — ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে (রামপাল)।
৫৯/ কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক — বল্লাল সেন।
৬০/ সেন রাজাদের মধ্যে গৌড়েশ্বর উপাধী ছিল — লক্ষন সেনের।
৬১/ লক্ষন সেনের রাজধানী ছিল — গৌড় ও নদীয়ায়।
৬২/ সেন বংশের অবসান ঘটে — ত্রয়োদশ শতকে।
৬৩/ সেন বংশের সর্বশেষ রাজা — লক্ষন সেন।
৬৪/ বাংলার শেষ হিন্দু রাজা ছিলেন — লক্ষন সেন।

Leave a Comment