মেডাম যখন বউ! রোমান্টিক প্রেমের গল্প বাংলা ভাষায়

( part..1)
কলেজ ক্যাম্পাসে আমার নাম বললে আমার বন্ধু যারা তারা চিনবে যদি ফাজিল ছেলে বলেন তবে স্যার সহ সবাই আমাকে দেখিয়ে দিবে।এ কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র একমাস এই একমাসে ফাজলামির জন্য ফাজিল উপাধি পেয়েছি।
এর আগে তিনমাসে তিনটা কলেজ টি ছি নামক ডিভোর্স দিলো আমাকে ফাজলামির কারনে। এই কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আব্বু বলছে এই কলেজ থেকে যদি টি ছি দেয় তাহলে তোর পড়ালেখা বন্ধ।
পড়ালেখা বন্ধ হতে পারে কিন্তু ফাজলামি বন্ধ করতে পারবো না তাই বাধ্য হয়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর নাগিন ড্যান্স ক্যামেরায় বন্ধি করলাম।
একদিন প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গিয়ে দেখি স্যার নাখ ডেকে ঘুমাচ্ছে। তাই সুযোগ বুঝে দোকান থেকে প্লাস্টিকের সাপ কিনে আনলাম। তারপর টেবিলের মধ্যে এমন ভাবে রাখলাম যেনো মনে হবে সত্যিকারের সাপ।
আর ঘুম থেকে উঠলেই সাপ্টাকে দেখতে পায় এমন করে রাখলাম। অনেক্ষন ধরে মোবাইলের ক্যামেরা অন করে লুকিয়ে আছি কিন্তু স্যার এর ঘুম ভাঙ্গছেই না।
তাই কাগজ দিয়ে কয়েকটা ঢিল মারছি তারপর সে কি চিৎকার আর ডান্স সেদিন পালিয়ে বাসায় চলে আসলাম।পরেরদিন কলেজে গিয়ে স্যার এর সাথে দেখা করলাম।
আমি : আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন।
প্রিঃস্যার : অলাইকুম আসসালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো।
আমি : জ্বি স্যার ভালো তবে স্যার কাল অফিসে আপনি সেই লেভেলের নাগীন ডান্স দিছেন পুরাই জোসসসস।
প্রিঃস্যার : তুমি কি করে জানলে সেখানেতো কেও ছিলো না তার মানে তুমি এসব করেছিলে বেয়াদব বদমাশ ছেলে।
আমি : কি করবো স্যার আব্বু বলেছে এই কলেজ থেকে টি ছি দিলে আর পড়তে দিবে না তাই বাধ্য হয়ে এসব করলাম।
প্রিঃস্যার : তোমাকে আমি এখনি টি ছি দিচ্ছি দাড়াও।
আমি : স্যার সে কাজ ভুলেও করবেন না তাহলে আমার মোবাইলে ধারণ কৃত আপনার নাগিন ডান্স পুরা ক্যম্পাসে হয়ে যাবে।
তারপর স্যার রাগে দুঃখে আর কিছুই বললেন না। এরপর থেকে ফাজলামি চলতেই আছে।
এবার আপনাদের পরিচয় দি আমি ফারহান এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি।ফাজলামি কারনে ফাজিল উপাধি পেয়েছি। আব্বু ব্যবসা করে আর মা গৃহিণী আপাদত এইটুকুই থাক।
আজ কলেজে নতুন ম্যাডাম আসবে প্রিন্সিপাল স্যার আগেই আমাকে বলেছেন যেন ওনার সাথে ফাজলামি না করি কিন্তু কি করবো ফাজলামিতো করতেই হবে তা নাহলে ক্যম্পাসে আমার যে সুনাম রয়েছে তা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।
তাই প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র ব্যাগে নিয়ে রাখলাম। ক্যাম্পাসে এসে দেখি বন্ধু চারজন বট গাছের নিছে আড্ডা দিচ্ছে (মিম নীলা রিয়াদ রনি)কাছে যেতেই নীলা বাদে সবাই আমাকে দেখে পেলছে।
আমি হাত দিয়ে ইশারা করলাম যাতে তারা নীলাকে কিছু না বলে। আমি ব্যাগ থেকে ভুতের মাক্স নিয়ে পড়ে নীলার মাথার পিছনে গাট্টি মারলাম। নীলা পিছন পিরতে আমি সরে নীলার সামনে গিয়ে বসলাম।
আর নীলার দিকে তাকিয়ে আছি নীলা পিছন পিরে কাওকে না দেখে সামনে তাকাতেই ভুত বলে এক চিৎকার দিয়ে দু তিন হাত পিছনে চলে গেলো।আর আমরা সবাই হেসে উঠালাম।নীলা এসে আমার পিঠে কিল ঘুষি মারতেছে।
নীলা : ফাজিল আমিতো বিষণ ভয় পেলাম। (বুকে ফুঁ দিয়ে)
আমি : তুই এতো ভিতু আগেতো জানতাম না।
নীলা : তুই আমার জায়গা হলে বুঝতি সাহসী হস আর ভিতু ভয় তুই পেতি।
আমি : হয়েছে আর বলতে হবে না তা কি বিষয় নিয়ে আড্ডা হচ্ছে।
রনি : আজ নতুন ম্যাডাম আসবে তাকে নিয়ে।
আমি : তা ওনার বিষয় নিয়ে আড্ডা দেওয়ার কি আছে।
রিয়াদ : না শুনেছিলাম ওনি নাকি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে অনেক মেধাবী তাই পার্টটাইম হিসেবে আমাদের কলেজে পড়াবেন।
আমি : পড়ালে পড়াবেন তাতে আমাদের কি।
মিম : হুম তাও ঠিক আচ্ছা চল ক্লাসে চল।
তারপর সবাই ক্লাসে চলে গেলাম।আমরা পাঁচজন একসাথে বসি আজকেও বসলাম। যথারীতি ক্লাস শুরু হয়ে গেলো।এবার আমাদের ইংলিশ ক্লাস কিন্তু স্যার আসতে দেরি করতেছে।
বসে থাকতে আমার বোরিং লাগছে তাই কাগজ দিয়ে কাগজের প্লেন বানালাম আর সেটা হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম।কাগজের প্লেনের সুঁচালো অংশ গিয়ে একটা মেয়ের নাখে বাজলো আর মেয়েটা উঁহ বলে একটা শব্দ করলো।
মেয়েটার হাতে একটা ইংলিশ বই সাধারণত স্যার কিংবা ম্যাডাম যে বিষয় ক্লাস নিন তিনি ওই বিষয়ের বই নিয়ে ক্লাসে আসেন। আমার আর বুঝতে বাকি নেই ওনি আমাদের নতুন ম্যাডাম এক নজর দেখে নিলাম।
ম্যাডামের গায়ের রঙ দুধে আলতা কাজল টানা চোখ চুল গুলা খোলা যে কোন ছেলেই ক্রাশ খাওয়ার জন্য যথেষ্ট কিন্তু আমি খেলাম না আমি এমন খাবার খাইনা।
ম্যাডাম মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ালেন। ম্যাডামের নাক লাল হয়ে গেছে বুঝতে পারলাম ব্যথা পেয়েছেন।
ম্যাডাম : hi everyone আমি মেঘা তোমাদের নতুন ম্যাডাম আজই জয়েন করলাম আর তোমাদের ইংলিশ পড়াবো।
আমি : সাধারণত নতুন স্যার কংবা ম্যাডাম আসলে প্রিন্সিপাল স্যার সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় কিন্তু আপনি দেখি নিজেই আসছেন আমাদের আসাথে পরিচয় হতে।(দাঁড়িয়ে বললাম)
ম্যাডাম ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে কি যেনো চিন্তা করলেন।
ম্যাডাম : প্রিন্সিপাল স্যার কাজে ব্যস্ত তাই আমি নিজে আসলাম। আর হে এই কাগজের প্লেনটা আমার দিকে কে ছুড়ে মারছে…
চলবে…

**** ম্যাডাম যখন বউ******
( part.. 2)
ম্যাডাম : প্রিন্সিপাল স্যার কাজে ব্যস্ত তাই আমি নিজে আসলাম। আর হে এই কাগজের প্লেনটা আমার দিকে কে ছুড়ে মারছে।
আমি : ম্যাডাম ওটা আপনার দিকে ছুড়ে মারিনি হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু কি করে জানবো যে কাগজের প্লেনটা আপনাকে পছন্দ করে আপনার সাথে মোলাকাত করতে গেছে।
একথা বলে আমি বসে পড়লাম ম্যাডাম তিগ্ম চাহনি নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে।
ম্যাডাম : আচ্ছা শুনেছিলাম তোমাদের ক্লাসে একটা ফাজিল ছেলে আছে তা সে কি আজ ক্লাসে আছে।
ম্যাডামের কথা শুনে ক্লাসে সবাই আমার দিকে তাকালো আর আমি ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে একটা মৃদু হাসি দিলাম।
ম্যাডাম : ওহ তুমি সেই ফাজিল ছেলে।তাইতো বলি ক্লাসে কেও কিছুনা বললেও তুমি বুক ফুলিয়ে বলছো।
আমি : ম্যাডাম ভুল বলছেন বুক ফুলিয়ে বলি নাই দাঁড়িয়ে বলছি।(হাসি দিয়ে বললাম)
আমার কথা শুনে ম্যাডাম চুপ হয়ে গেলো আর ক্লাসে একপ্রকার হাসির রোল পড়ে গেলো।
ম্যাডাম : সবাই হাসি বন্ধ করো।
ম্যাডামের কথায় সবাই হাসি বন্ধ করলো।ম্যাডাম আমার দিকে একবার তাকিয়ে পড়ানো শুরু করলো।কিছুক্ষণ পর ম্যাডাম বোর্ডে কিছু লিখছেন আর সবাইকে লিখতে বলছে।
কিন্তু কেও না লিখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে কারন আজ পর্যন্ত সব স্যার কিংবা ম্যাডামকে হ্যানস্ত করছি কিন্তু নতুন ম্যাডামকে কিছুই করিনাই তাই সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে পাশ থেকে নীলা বললো
নীলা : কিরে তুই সব স্যার ম্যাডামকে হ্যানিস্ত করছিস কিন্তু নতুন ম্যাডামকে দেখি এখনো কিছু করিস নাই ক্রাশ খাইলি নাকি ম্যাডামের উপর (আস্তে করে বললো)
আমি : আরে আমি ওই সব আজেবাজে খাবার খাই না দেখ ম্যাডামকে কি করি।
তারপর ব্যাগ থেকে তেলাপোকার কোটাটা নিলাম অনেক কষ্টে যোগাড় করছি।প্রিন্সিপাল স্যারকে অবশ্য ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার ওনি আমার কাজটা সহজ করে দিলেন।
আমি জানতাম নাহ নতুন স্যার নাকি ম্যাডাম আসবেন কিন্তু স্যার আমাকে আগেরদিন বলে দিছেন নতুন ম্যাডাম আসবে।আমার হাতে তেলাপোকার কোটাটা দেখে সবাই চোখ বড় বড় করে পেললো আমি হাত দিয়ে সবাই চুপ থাকতে বললাম।
তারপর সাবধানে গিয়ে ম্যাডাম বইয়ের যে পৃষ্ঠায় পড়াচ্ছেন সে পৃষ্ঠায় তেলাপোকাকে ছেড়ে দিয়ে বইটা বন্ধ করে দিয়ে নিজের সিটে বসে পড়লাম। এখন অপেক্ষায় আছি ম্যাডাম বইটা খোলার।
ম্যাডাম লেখা শেষ করে বইটা হাতে নিয়ে cockroach বলে এক চিৎকার দিয়ে বইটা পেলে দিয়ে ক্লাসরুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে গেলেন আর ক্লাসের সবাই সেই লেভেলের হাসতেছে।ম্যাডাম ক্লাসরুম থেকে দৌড়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর রুমে গেলেন।
প্রিঃস্যার : কি বেপার মামুনি তুমি এভাবে দৌড়ে কথাথেকে আসলে।
অহ আপনাদের তো বলা হয় নাই প্রিন্সিপাল স্যার মেঘা ম্যাডামের আব্বুর বন্ধু হয়।
ম্যাডাম : আঙ্কেল………. রুমে cockroach।
প্রিঃস্যার : কি বলো ক্লাসরুমে cockroach অহ বুঝেছি এটা ওই ফারহানের কাজ।
ম্যাডাম : ফারহান কে।
প্রিঃস্যার : আরে ওই ফাজিল ছেলে আছে না ওরি কাজ এটা সব টিচারদের হ্যানস্ত করছে ফাজিলটা।
ম্যাডাম : এরকম ফাজিল ছেলেকে কলেজে রাখছেন কেনো টি ছি দিয়ে দিতে পারেন না।
প্রিঃস্যার : কি বলবো আর দুঃখের কথা।
ম্যাডাম : কেনো কি হয়েছে আঙ্কেল।
তারপর স্যার সবকিছু বললেন আরো বললেন যাকে আমাকে টাইট দিতে।
প্রিঃস্যার : আচ্ছা মামুনি আজ বাড়িতে ছলে যাও কাল আবার এসো।
ম্যাডাম : কিন্তু আঙ্কেল ক্লাসতো এখনো বাকি আছে।
প্রিঃস্যার : সেটা আজ আর করানো লাগবেনা।
তারপর ম্যাডাম অফিস থেকে চলে আসলেন আর আমি আর আমার বন্ধুরা ব্যাগ নিয়ে ক্লাস রুম থেকে চলে আসলাম সেই বট গাছের নিছে আড্ডা দিতে।
রনি : দোস্ত আজ ম্যাডামকে এমন অপদস্থ করা তোর উচিত হয় নাই।
মিম : আরে সেটা না ম্যাম cockroach বলে সে কি চিৎকার দিলেন।
একথা বলে আমরা সবাই উচ্চ সরে হাসি দিলাম।হঠাৎ ম্যাডামকে আমাদের দিকে আসতে দেখলাম।
ম্যাডাম আমাদের কাছে এসে আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকালেন আর আমি হাসি দিলাম।
ম্যাডাম : কাজটা তুমি ভালো করলে না এর প্রতিশোধ আমি নিবো।
আমি : ঠিক আছে ম্যাডাম আমিও প্রস্তুত আছি।
ম্যাডাম : দূরররর।
একথা বলে ম্যাডাম রাগে গজ গজ করতে চলে গেলেন।আর আমরা আড্ডায় ব্যস্তসময় পার করছি।আড্ডা শেষে বাড়িতে এসে দেখি আব্বু চলে আসছে বুঝলাম না আব্বুতো রাত ছাড়া বাসায় আসে না অতকিছু না ভেবে রুমের দিকে যাচ্ছিলাম তখনি
আব্বু : ফারহান দাড়াও।
আমি : জ্বি আব্বু কিছু বলবেন।
আব্বু : একটা জিনিষ বুঝলাম না যে ছেলে ফাজলামির জন্য তিনমাসে তিনটা কলেজ টি ছি দিলো অথচ এই কলেজ থেকে একদিনও অভিযোগ আসে নাই strange।
আমি : আব্বু আমি ভদ্র হয়ে গেছি (হাসি দিয়ে)
আব্বু : তোর মতো ফাজিল ভদ্র হয়ে গেছে বিশ্বাস হচ্ছে না।
আম্মু : কি শুরু করলে হে ছেলেটা মাত্র কলেজ থেকে আসলো কথায় ফ্রেস হয়ে খেতে আসবে তা না কি সব প্রশ্ন শুরু করছে।
(একটা কথা সবার কাছে আমার গল্প ভালো নাও লাগতে পারে তারা আমাকে ইগনোর করতেই পারেন কিন্তু বাজে কমেন্ট করবেন না বুঝাইয়া বলবেন, আর আমি এখনো এতোটা বড় হই নাই যে একেবারে ১০০ এ ১০০ গল্প লিখতে পারবো….)
আমি আর কিছুনা বলে রুমে চলে আসলাম। পরেরদিন কলেজে যাওয়ার জন্য কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশ করতেছিলাম তখনি পিছন থেকে কে যেনো ধাক্কা দিলো।(যারা নিয়মিত গল্প পরেন তারা এডড দিয়ে সাথে থাকুন)
আমি : ওই কোন শালারে পিছন থেকে ধাক্কা দিলো।
পিছন পিরে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম কারন….

**** ম্যাডাম যখন বউ****
(Part:3)
আমি : ওই কোন শালারে পিছন থেকে ধাক্কা মারলো।
আমি পিছন পিরে হতবম্ভ হয়ে গেলাম কারন ম্যাডাম আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। বুঝতে পারলাম ম্যাডাম ইচ্ছে করে ধাক্কা দেননি কারন সামনে দিয়ে একটা কার দ্রুত গতিতে চলে গেলো।
আমি : আসলে ম্যাডাম আমি বুঝতে পারিনি সরি।
ম্যাডাম কিছুনা না বলে আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। আমিও চলে গেলাম বন্ধুদের কাছে।আড্ডা শেষে ক্লাসে গেলাম আজ প্রথম ক্লাসে ম্যাডাম আসলেন এখনতো বাংলা বিষয়।
আমি : ম্যাডাম আপনি যতো সম্ভব ভুল করেছেন আমাদের এখন বাংলা ইংলিশ নয়।
ম্যাডাম : আমি জানি তোমাকে বলতে হবে না।
আমি : না ম্যাডাম অনেকে ভুল করে তাই ভাবলাম আপনিও ভুল করেছেন।
ম্যাডাম : আচ্ছা তুমি এতো ফাজিল কেনো বিরক্তিকর।
আমি : ম্যাডাম সেটা শুধু আপনার ক্ষেত্রে না সব টিচারদের ক্ষেত্রেও আমি বিরক্তিকর।
ম্যাডাম : তুমি বড্ড বেশি ফাজিল তোমাকে শাস্তি দিতে হবে।
আমি : শাস্তি আমাকে দিবেন হাসালেন ম্যাডাম অনেক টিচাররা চেষ্টা করছে কিন্তু পারে নাই আপনিও চেষ্টা করতে পারেন।
ম্যাডাম রাগে গজ গজ করতে করতে থাকে আর আমি বসে পড়ি।ম্যাডাম বাংলা পড়াচ্ছেন ভালোই পড়াচ্ছেন।আর আমি বসে বসে মোবাইলে গেমস খেলছি ম্যাডাম বিষয়টা লক্ষ করলো তাই পড়া বাদ দিয়ে
ম্যাডাম : তা মি.ফাজিল আপনি একটু দাঁড়ানতো।
আমি গেমস খেলা বাদ দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম।
ম্যাডাম : তা মি.ফাজিল আমি পড়াচ্ছি আর তুমি কি করছো।
আমি : জ্বি গেমস খেলছিলাম।
ম্যাডাম : গেমস খেলছো মানে আমিযে পড়াচ্ছি পড়ায় মনোনিবেশ দেওনি কেনো।(ধমকের সুরে)
আমি : ম্যাডাম আমার বাংলা এবং ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা আছে তাই পড়ায় মনযোগ দি নাই।(তবে ইংলিশে পুরাই কাঁচা)
ম্যাডাম : ইডিয়ট।
আমি : জ্বি ম্যাডাম।
ম্যাডাম : ঠিক আছে তোমাকে আমি ছয়টা প্রশ্ন করবো একটা বাংলা সম্পর্কে আর পাঁচটা ইতিহাস সম্পর্কে যদি একটার উত্তর দিতে না পারো তাহলে তোমাকে মাঠের মাঝখানে কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখবো।
যাক তাও ভালো ইংলিশ কোন প্রশ্ন করবে না তাই ভালো।
আমি : যদি দিতে পারি তাহলে আপনি কি দিবেন।
ম্যাডাম : তুমি যেটা বলবে সেটা করবো।
আমি : কিছু করতে হবে না শুধু আমাদের সবাইকে ক্যান্টিনে গিয়ে খাওয়াতে হবে ডান।
ম্যাডাম : ওকে ডান।প্রথম প্রশ্ন যেহেতু এখন বাংলা বিষয় তাই বাংলা বিষয় নিয়েই প্রশ্ন করি কোন কবির কবিতা ছাত্রাবস্থা তার পাঠ্যবইয়ে চলে আসে….??
সকলের কেন্দ্রবিন্দুতে আমি আর ম্যাডাম। প্রশ্নটার উত্তর আমার জানা আছে তাই ছট করে বলে দিলাম।
আমি : কবি জসিমউদ্দিন।
ম্যাডাম : হুম গুড দ্বিতীয় প্রশ্ন ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে…..???
এই সেরেছে যে প্রশ্ন নিয়ে কনফিউজড হচ্ছিলো সে প্রশ্নটাই ম্যাডাম করে বসলো মাথা চুলকাচ্ছি কিন্তু মনেই আসছে না এখন যদি বলতে না পারি তাহলে কি হবে উপ ভাবতে পারছি না মাথা নিছু করে ভাবতেছি
ম্যাডাম : কি মি.ফাজিল এতো তাড়াতাড়ি পরাজয় মেনে নিলে।
আমি : জ্বি না ম্যাডাম এতো জলদি পরাজয় মেনে নিচ্ছি না ভাবছি।
ম্যাডাম : Hurriedly।
আমি : হেরোডোটাস (গ্রীস)।
ম্যাডাম : গুড এবার তৃতীয় প্রশ্ন সর্বপ্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয় কোন দেশে…..??
প্রশ্নটা খুবই সজা জাপান না না চিনে আবিষ্কৃত হয় সর্বপ্রথম কাগজ।
আমি : চিনে ম্যাডাম এতো সহজ প্রশ্ন করলে হেরে যাবেন।
ম্যাডাম : গুড আর তোমাকে বলতে হবে না আমি সহজ প্রশ্ন করবো না কি জটিল প্রশ্ন।
আমি : জ্বি ম্যাডাম।
ম্যাডাম : চতুর্থ প্রশ্ন বিশ্ব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় কখন….??
প্রশ্নটা একটু জটিল আমাকে ভাবাচ্ছে আমি সাবার দিকে লক্ষ করলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো সবাই ছাচ্ছে আমি জিতে যাই।
আমি : খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ থেকে।
ম্যাডাম চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন হয়তো ভাবতে পারেনি আমি এতো জটিল প্রশ্নের উত্তত এতো সহজে দিয়ে দিবো।
ম্যাডাম : হুম ভেরি গুড এবার পঞ্চম প্রশ্ন কারা বৃত্তকে প্রথম ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করেন….???(মুখ কালো করে)
প্রশ্নটা শুনে আমার মুখে আমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসলো আর ম্যাডামের মুখে হাসি ফুটে উঠলো প্রশ্নটা খুবই জটিল প্রশ্নটার উত্তর জানি না এমনটা নয়।
ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় প্রদান শিক্ষক সমাজ বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন তখন তিনি আমাদের প্রশ্নটা করেছিলেন কেও উত্তর দিতে পারে নাই তিনি উত্তরটা বলে দিলেন এবং এটাও বললেন সারাজীবন মনে রাখতে কাজে আসবে কিন্তু সেটাজে এতো তাড়াতাড়ি কাজে আসবে ভাবতে পারিনি উত্তর টা ঠিক মনে করতে পারছি না।কিছুক্ষণ ভাবার পর
আমি : অ্যাসেরীয়রা তারাই প্রথম বৃত্তকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করেন।
এবার ম্যাডামের মুখের হাসি নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো হয়তো তিনি ভাবতে পারে নাই আমি এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো।
ম্যাডাম : হুম ভালো আচ্ছা রাজনীতি বুঝ।
আমি : মোটামুটি বুঝি।
ম্যাডাম : আচ্ছা তাহলে বলো গণতন্ত্রের জনক বলা হয় কাকে….???(হাসি মাখা মুখে)
প্রশ্নের উত্তরটা আমার জানা আছে রাজনীতি ওতোটা না বুঝলেও ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা আছে তাই দ্রুত বলে দিলাম
আমি : জন লক।
(যারা নিয়মিত গল্প পরেন তারা এডড দিয়ে সাথে থাকতে পারেন)
আমার উত্তর শুনে ম্যাডামের হাসিমাখা মুখটা নিমিষেই কালো হয়ে গেলো বিষয়টা বেশ উপভোগ করলাম।ক্লাসের সবাই করতালি দিয়ে স্বাগতম জানাচ্ছ। ম্যাডাম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর আমি চোখ টিপ দিয়ে দিলাম।
পরে ম্যাডাম সহ আমরা সবাই ক্যান্টিনে গেলাম যার যা ইচ্ছা সব খেলো ম্যাডাম বিল দেওয়ার সময়।
আমি : ম্যাডাম আপনিতো চেষ্টা করলেন আমাকে হ্যানস্ত করার কিন্তু পারলেন না এবার আমার পালা।
ম্যাডাম : তোমার পালা মানে কি বুঝাতে ছাচ্ছো…..
…..
শুধু শুধু গল্প পড়ে চলে যাবেনা এতে লেখার ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে যাই, সকলে একটা করে ফলো দিয়ে যাবেন

***** ম্যাডাম যখন বউ*****
(part..4 )
ম্যাডাম : তোমার পালা মানে কি বুঝাতে ছাচ্ছো।
আমি : সেটা সময় হলে জানতে পারবেন।
একথা বলে একটা হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম রাত্রে আম্মুর ডাকে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম।
আম্মু : কিরে সেইযে কলেজ থেকে এসে ঘুমাইলি দুপুরের খাবার তো খেলি না।
আমি : খিদে ছিলোনা তাই খাইনি।
আম্মু : এখন খাবি।
আমি : নাহ খাবো না এখন কিছুক্ষণ পড়বো তারপর।
আম্মু আর কিছুনা বলে রুম থেকে চলে গেলো আমি ফ্রেস হয়ে পড়তে বসলাম।পড়তেছিলাম তখনি রিয়াদের ফোন আসলো
আমি : হুম বল।
রিয়াদ : আজ সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে আসলি না যে।
আমি : ঘুমে ছিলাম তাই।
রিয়াদ : তা এখন কি করিস।
আমি : পড়তেছি তুই।
রিয়াদ : মাত্র বাসাতে আসলাম।
আমি : বাসায় গিয়ে কি করবি চলে আয় আড্ডা দিবো রনিরেও ফোন দে।
রিয়াদ : আচ্ছা বাই।
আর কিছুনা পড়ে রুমথেকে বের হয়ে গেলাম আড্ডা দিতে। বাইরে যাবো দরজারর কাছে যেতেই পিছন থেকে আব্বু বললো
আব্বু : এইযে ফাজিল বাইরে কথায় যাচ্ছেন।
আমি : জ্বি আড্ডা দিতে।
আব্বু : কিহহ আবার বলে আড্ডা দিতে যাচ্ছি পড়া লেখার নাম নেই সারাদিন ফাজলামি আর আড্ডা যাও পড়তে বস(রাগি সুরে)।
আমি আর কিছুনা বলে রুমে চলে আসলাম। আব্বু খুব রাগি মানুষ সহজে রাগ করেন না আর করলে খবর আছে তাই বাড়াবাড়ি না করে রুমে পড়তে বসলাম। আর রিয়াদ কে ফোন দিয়ে না করে দিলাম।
কিছুক্ষন পড়ে রাতের খাবার খেয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম কিছুক্ষণ নিউজ ফিডে ঘুরে বেরিয়ে পড়লাম তারপর দিলাম আরেক ঘুম।পরেরদিন ক্যাম্পাসে ম্যাডামের জন্য অপেক্ষা করছি।
আজ থেকে ম্যাডামের সাথে ফাজলামি করা শুরু। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দেখি ম্যাডাম আসতেছে তো আমার মিশন শুরু।ম্যাডাম যে পথ দিয়ে আসতেছে সেই পথে প্লাস্টিকের সাপটা রেখেদিলাম।
এহ সমস্যা একটা হয়ে গেছে ম্যাডামতো পথ দেখে দেখে হাটতেছে তাহলে সাপটাকে দেখে পেলবে তাহলে আমার মিশিন ব্যর্থ হয়ে যাবে।না তা হতে দেওয়া যাবে না ম্যাডামের মনযোগ অন্য দিকে নিতে হবে।তাই দ্রুত ম্যাডামের কাছে গেলাম
আমি : আসসালামু আলাইকুম ম্যাডাম।কেমন আছেন।
ম্যাডাম হাটা বন্ধ করে আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ম্যাডাম : অলাইকুম আসসালাম।হুম ভালো তুমি কেমন আছো।
আমি : জ্বি ভালো ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা বলি।(হাটতেছি আর কথা বলতেছি)
ম্যাডাম : হুম বলো।
আমি : আমিনা ইংলিশে খুবি দুর্বল আমাকে যদি ইংলিশ প্রাইভেট পড়াতেন যদি আপনার সময় থাকে।(মিথ্যা,কথা বলে মনযোগ অন্য দিকে নিচ্ছি)
ম্যাডাম : আচ্ছা তোমাকে আমি পরে জানাবো।
আমি : ম্যাডাম সামনে সাপ।(হালকা ঝরে বললাম)
ম্যাডাম সামনে তাকিয়ে সাপ বলে এক চিৎকার দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। মুহুর্তটা যেনো থমকে গেলো এমন পরিস্থিতির জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি। নিজেকে স্বাভাবিক করে উচ্চ সরে হাসা শুরু করলাম।
!কেউ আবার মেডামকে বাস্তব জীবনে ক্রাস কইরেন না এইসব লুচু রাই করে, তবে আমি কিন্তু ভালো, ভদ্র,ইনোসেন্ট তবুও সিংগেল !
ম্যাডাম নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে ছাড়িয়ে নিলো। আর আমি প্লাস্টিকের সাপটা হাতে নিয়ে ম্যাডামের সামনে নাছাচ্ছি। ম্যাডাম আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকালেন।
ম্যাডাম : ফাজিল ছেলে ফাজলামির একটা লিমিট থাকে।
আমি সাপটাকে গলায় প্যাঁচিয়ে হাসতে হাসতে ক্লাসরুমে চলে আসলাম। ম্যাডামের সাথে আরো অনেক ফাজলামি করছি ভুতের মাক্স পড়ে ম্যাডামকে ভয় দেখিয়েছি আরো অনেক ভাবে ম্যাডামের সাথে ফাজলামি করছি।
! যারা নিয়মিত গল্প পরেন তারা এডড দিয়ে সাথে থাকতে পারেন!
প্রায় অনেকদিন ম্যাডামের সাথে ফাজলামি করছি।ক্লাস শেষ করে বন্ধুরা মিলে বট গাছের নিছে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
মিম : দোস্ত ম্যাডাম দেখি এদিকে আসতেছে।
আমি তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম আমাদের দিকে আসতেছে।
ম্যাডাম : তা মি.ফাজিল কেমন আছো।
আমি : জ্বি ভালো আপনি কেমন আছেন।তা কি মনে করে এখানে আসলেন।
ম্যাডাম : ভালো। তোমার ফাজলামো বন্ধ করতেছি সেই খবরটা দিতে আসছি।
আমি : তাই নাকি এতো দিন বন্ধ করতে পারেন নাই আর এখন বলছেন বন্ধ করবেন।
ম্যাডাম : সেটা সময় বলে দিবে।
আমি : ঠিক আছে তা সময় বলে দিবে।
তারপর ম্যাডাম সেখান থেকে চলে গেলো আর আমরা আড্ডায় মিশে গেলাম।আজ দুদিন ম্যাডাম কলেজে আসে না না আসলে নাই তাতে আমার কি।
আজ কলেজ থেকে বাসায় গিয়ে যে কথাটা শুনলাম তা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো কারন কথাটি হচ্ছে…………….
৫ম পর্ব আমার প্রোফাইলে আছে পড়ে নিতে পারেন,,,,
শুধু শুধু গল্প পড়ে পড়ে চলে যাবেন কমেন্ট করে ফলো করে যাবেন এতে লেখার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধী পাই

চলবে………

মেডাম যখন বউ
পর্বঃ৫
কলেজ থেকে বাসায় এসে যে কথা শুনলাম তা শুনে মাথায় মনে হলো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কারণ কথাটা হলো আমার বিয়ে তাও আজ রাতে। কথাটা শুনে মায়ের কাছে দ্রুত চলে গেলাম।
আমি : আম্মু আম্মু এসব কি শুনছি।
আম্মু : কি শুনছোছ।
আমি : আজ নাকি আমার বিয়ে।
আম্মু : হুম ঠিকই শুনেছিস।
আমি : কি বলছো এসব আমি কেবল ইন্টারে পড়ি আর তা ছাড়া আমারতো বিয়ের বয়সও হয় নাই আমি এখন বিয়ে টিয়ে করতে পারবো না হুম।(রাগ দেখিয়ে)
আম্মু : আমার সাথে রাগ দেখাস কেন তোর আব্বুর সাথে রাগ দেখা।
আমি : এ্য্য্য তোর আব্বুর সাথে রাগ দেখা যাতে আমার কানের পট্টি গরম করে দেয়।
আমি আর কিছুনা বলে আমার রুমে চলে আসলাম। আমিতো কিছুতেই বিয়ে করবো না কি করি কি করি হুম পেয়েছি। এখন বাইরে চলে যাবো একেবারে রাত করে বাসায় আসবো দেখবো আমাকে কিভাবে বিয়ে দেয় হুম।
যেই ভাবা সেই কাজ বাসা থেকে বের হয়ে হাটা ধরলাম এখন আর আমাকে পায় কে হা হা হা বিয়ে দিবে দিক দেখি কাকে দেয়।কিছুদূর যাওয়ার পর কে যেনো আমার পিছন থেকে শার্ট ধরে টানছে। পিছন পিরে দেখি আব্বু চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
আব্বু : ওই দিকে কথায় যাচ্ছিস।
আমি : এই সেরেছে আর পালানো হল না (বিড় বিড় করে)
আব্বু : কি বিড় বিড় করে বলছিস পরিষ্কার করে বল।
আমি : না মানে বন্ধুদের কাছে যাচ্ছি।
আব্বু : এখন বন্ধুদের কাছে যাওয়া লাগবে আমার সাথে বাসায় চল।
আমি : আব্বু আপনি চলে যান আমি একটু পরে আসছি।
আব্বু : তুই এখনি চল।
একথা বলে আমার কান ধরে বাসায় নিলে গেলো।বাসায় নিয়ে গেছে ভালো হয়েছে কিন্তু আমাকে রুমের মধ্যে আটকিয়ে রাখছে।আমি দরজা ধাক্কাচ্ছি
আমি : আব্বু আম্মু আমি এই বিয়ে করবো না তোমরা আমার স্বাধীনতা হরণ করতে পারো না।
দরজার ওপাশ থেকে আব্বু : তুই বিয়ে করবি না তোর ঘাড় করবে।
তো আর কি ভালো ভালোই বিয়েটা হয়ে গেলো।জানিনা মেয়েটা কেমন কি করে কিছুই জানি না।রাত দশটা নিজের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি এখন নিজের রুমে যেতেও কেমন ভয় ভয় লাগছে।
আজ থেকে একজন অচেনা অজানা মেয়ের সাথে একই রুমে থাকতে হবে ভাবতেই কেমন লাগে।রুমের বিতর প্রবেশ করে দেখি বউ আমার এক হাত ঘোমটা দিয়ে বিছানার মাঝখানে বসা তার সামনে আমার ইংলিশ বই আর এক হাতে একটা ব্যত।
একেমন মেয়ের সাথে বিয়ে দিলো আব্বু আম্মু।যতো সামনে এগুচ্ছি মনে হচ্ছে বুকের বিতর কে যানো হাতুড়ি পিটাচ্ছে। ব্যতের দিকে চোখ যেতেই আপনা আপনি মুখ থেকে বেরিয়ে গেলো
আমি : আসসালামু আলাইকুম।
মেয়ে : অলাইকুম আসসালাম।
মেয়েটার কন্ঠটা কেমন চেনা চেনা লাগছে মনে হচ্ছে অনেক পরিচিত কন্ঠ।
আমি : আচ্ছা আপনার কন্ঠটা খুব পরিচিত মনে হচ্ছে। (বিছানায় বসে)
মেয়ে : হুম ঘোমটাটা উঠিয়ে দেখো আমাকেও পরিচিত মনে হবে।
কি আজব মেয়েরে বাবা আমি আপনি করে বলছি আর ওকিনা তুমি করে বলছে। আচ্ছা আগে ঘোমটা উঠিয়ে তার চাঁদ মুখ খানা ধর্ষণ করি।
ঘোমটাটা উঠিয়ে আমি বিছানা থেকে পড়ে গেলাম এ কাকে দেখছি সত্যি দেখছিতো।
!যারা নিয়মিত গল্প পরেন তারা request দিয়ে সাথে থাকতে পারেন!
আমি : ম্যা ম্যা ম্যাডাম আপনি এখানে।(তোতলিয়ে)
ম্যাডাম : হুম এখানে কি অন্য কেও থাকার কথা।
আমি : হুম অবশ্যই এখানে আমার বউ থাকার কথা বউ ও বউ কোথায় তুমি।
ম্যাডাম : চুপ ফাজিল আমি তোর বউ তুই আমাকে বিয়ে করেছিস।
আমি : এ্য্য্য আমিতো ইশিতাকে বিয়ে করেছি।
ম্যাডাম : ওইটা আমারি নাম ইশিতা ইসলাম মেঘা।
আমি : আমি এই বিয়ে মানি না আব্বা ও আব্বা।
একথা বলে আমি বসা থেকে উঠে রুমের বাইরে যেতে লাগলাম তখনি ম্যাডাম আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে
ম্যাডাম : আর একপা সামনে বাড়িয়ে দেখ।
আমি : কি করবেন কি(নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে)
ম্যাডাম : আগে একপা বাড়িয়ে দেখ।
আমিও কমকি এক পা সামনে এগিয়ে গেলাম অমনি ঠাসসস।ব্যত দিয়ে পিঠে একটা বাড়ি মারলো।
আমি : মারলেন কেন।(হাত দিয়ে পিঠ ডলতে ডলতে)
ম্যাডাম : সবেতো শুরু আর একপা বাড়িয়ে দেখ সব কটা মাইর তোর পিঠে পড়বে একটাও মাটিতে পড়বে না।
আমি : দেখুন ম্যাডাম আপনি কিন্তু আমার সাথে অন্যায় করছেন।
আবার ঠাসস করে পায়ের মধ্যে বাড়ি মারলো।
ম্যাডাম : ম্যাডাম কি এখন থেকে বউ বলে ডাকবি ঠিক আছে।
আমি : হুম।
মেঘা : এখন লক্ষি ছেলের মতো বিছানায় গিয়ে ইংলিশ পড়তে বস।
আমি আর কিছুনা বলে বিছানায় পড়তে বসলাম কারন কিছু বললে মাইর দিবে।আমি আগেই বলেছি আমি ইংলিশে কাঁচা। তো আর কি আমাকে ইংলিশ বুঝিয়েছে মারছে আবার সারারাত কান ধরে দাড় করিয়ে রাখছে পড়া না পারার জন্য।
এটা আমার বাসর রাত গেলো না কেয়ামত গেলো বুঝতে পারলাম না।আমি নিশ্চিত আমার মতো বাসর রাত কারো হয় নাই আর দোআও করি যাতে কারো এমন বাসররাত না হয়।

সকলে যদি লাইক কমেন্ট ফলো না করেন তাহলে লিখতে ভালো লাগেনা,
সকলের ভালোবাসা দেখতে চাই,,
পরবর্তী পর্ব আমার প্রোফাইলে দেয়া হয়ে পড়তে পারেন,,

চলবে…..

***মেডাম যখন বউ****
(part.. 6)
পরেরদিন সকালে কাওকে কিছু না বলে আমি ব্যাগ নিয়ে কলেজে চলে আসলাম।আমার সাথে এতো বড় ষড়যন্ত্র আমি মানতে পারছি না।
কলেজে এসে মাঠের মাঝখানে দেবদাসের মতো বসে আছি আর আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি গতকাল রাতে কি অত্যাচারটাই না করলো আমার সাথে।
এসব ভাবছিলাম তখনি কথাথেকে রনি আর নীলা এসে আমার পাশে বসলো।
দুজনে একসাথে : কিরে এখানে এভাবে দেবদাসের মতো বসে আছিস কেন।
কি ভাবে তোদের বলি যে কেনো দেবদাস হয়ে আছি কি নির্যাতনটাই না করলো।
রনি : কিরে কি ভাবতেছিস।
আমি : কিছুনা রিয়াদ আর মিম কই।
নীলা : ওরা আসে নাই।আচ্ছা কি হয়েছে তোর আজ এতো তাড়াতাড়ি কলেজে আসলি।
আমি : বললামতো কিছুনা চল আমার খিদা লাগছে ক্যান্টিনে চল।
তারপর আমরা ক্যান্টিনে গিয়ে আমি চা বিস্কিট খেলাম আর ওরা কপি। কিছুক্ষণ পর রিয়াদ আর মিম আসলো।আমারা আবার আড্ডায় মেতে উঠলাম। ক্লাস আড্ডা শেষ করে বাসায় যেতে বিকাল হয়ে গেলো।
!আপনারা গল্প পরে চলে যান কিন্তু গল্প কেমন হচ্ছে সেই বেপারে কোনো মন্তব্য করেন না!
বাসায় এসে দেখি দরজা খোলা তাই বাসার ভিতর ঢুকে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। তখনি পিছন থেকে আব্বু
আব্বু : ওই হারামজাদা সকালে কাওরে না বলে কই গেছিলি।
আমি : কলেজে গেছিলাম।
আব্বু : হারামজাদা গতকাল বিয়ে করেছিস আর আজকে কলেজে যাওয়ার দরকার ছিলো তোর শ্বশুর বাড়ি থেকে মেহমান এসেছিলো তোদের নিতে আর তুই কলেজে গেছিলি কি এমন মেধাবী ছাত্ররে।
আমি : আমি এই বিয়ে মানি না মানলেইনা শ্বশুর বাড়ি হবে।(আব্বুর মুখের উপর কথা বলে দিলাম)
তখনি কোথা থেকে ম্যাডাম আই মিন মেঘা এসে আমার কান চেপে ধরলো।ধরে আমাদের রুমে নিয়ে গেলো।
আমি : কি করছেন কি ছাড়ুন আমার ব্যথা লাগছেতো।
মেঘা আমার কান ছেড়ে দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।এবার আমি একটু না অনেকটাই ভয় পাচ্ছি।
আমি : আ আ আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো(ভয় পেয়ে)
মেঘা : ওই সময় আব্বুকে কি বলেছিস।
আমি : আমিতো আপনার আব্বুকে ছিনিনা আমি ওনাকে কি বলবো।
মেঘা : ওই ফাজিল আমি তোর আব্বুর কথা বলছি।
কি ডেঞ্জারাসরে বাবা একদিনে আমার আব্বুকে নিজের আব্বু বানিয়ে পেলছে না জানি ভবিষ্যৎ এ কি করবে।
মেঘা : ওই চুপ করে আছিস কেন কথা বল।
আমি : বলেছিলাম আমি এই বিয়ে মানি না।
ঠাসসসসস করে একটা চড় মারলো আমার নরম তুলতুলে গালে।
আমি : দেখুন ম্যাডাম আমাকে আর চড় মারবেন না তাহলে আমি কান্না করবো।
আবারো ঠাসসসস করে একটা চড় মারলো।
মেঘা : নিজের বউকে কেও ম্যাডাম বলে।
আমি এবার সত্যি সত্যি কেঁদে দিলাম কি ঝরেই না চড় মারলো উপ কি শক্তিরে হাতে।
মেঘা : অলেলে আমার বাবুটা বুঝি ব্যথা পেয়েছে আসো আমার কাছে আসো আদর করে দি।
একথা বলে আমার শার্টের কলার ধরে তার কাছে নিয়ে আমার দু গালে দুটো চুমু দিলো।
মেঘা : এখন চুপ চাপ গোসল করে রেডি হও আমরা এখন আমাদের বাসাতে যাবো।
আমি আর কিছুনা বলে গোসল করতে গেলাম কারণ প্রতিবাদ করলেই আমার নরম গাল শক্ত করে পেলবে চড় মেরে।তারপর গোসল করে রেডি হয়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে শুরু হলো অত্যাচার তবে শারীরিক ভাবে না অন্য ভাবে এতো এতো খাবার দিছে যা বলার বাইরে মানা করলেও শুনে না।
অর্ধেক খাবার খেয়ে যখন উঠতে যাবো তখনি মেঘা আমার হাত ছেপে ধরে বসালো তারপর বললো
মেঘা : একটু খাবার যদি অপচয় করো তাহলে রাতে খবর আছে বলে দিলাম হুম।
তো আর কি না পারতেও খেয়েছি এখন বিছানায় একপাশে শুয়ে আছি না পারছি নড়তে। চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি কখনযে চোখে ঘুম চলে আসলো বুঝতে পারলাম না।
কিছুক্ষণ পর মনে হচ্ছে কে যেনো গুঁতো মারছে কিন্তু কে মারতে পারে এখানেতো আমি ছাড়া কেও নেই। এবার আমাকে এক লাথি মেরে নিছে পেলে দিলো
আমি : ও মারে মা আমার কোমরটা গেলো রে।
তাকিয়ে দেখি মেঘা হাসছে আমার বিষণ রাগ উঠলো মাত্র ঘুম আসছে আর ওনি।
আমি : আমাকে লাথি মারলেন কেনো।(কোমর ডলতে ডলতে)
মেঘা : তো কি করবো তোকে সেই কখন থেকে ডাকছি তুই উঠছিস না তাই লাথি মারছি।
আমি : দেখছেন না আমি ঘুমাচ্ছিলাম তো উঠালেন কেনো।
মেঘা : আমার পা ব্যথা করছে।
আমি : আপনার পা ব্যথা করছে তো কি হয়েছে।
মেঘা : তুই আমার পা টিপে দিবি সে জন্য উঠাইলাম।
আমি : এ্য্য্য আমি আমার জামাকাপড় নিজে ধুই না আর আপনার পা টিপে দিবো আমি ইম্পসিবল।
মেঘা : তুই টিপে দিবি না তোর ঘাড় টিপে দিবে।
আমি : জীবনেও না।
মেঘা : কিহহহহ।
একথা বলে আমার দিকে ধেয়ে আসছে। আসলেইতো আমাকে চড় মারবে।
আমি : এই না না আমার কাছে আসবেন না আমি পা টিপে দিচ্ছি।
মেঘা : এইতো গুড বয়।
তারপর মাঝরাত পর্যন্ত মেঘার পা টিপা লাগছে। পরেরদিন সকালে নাস্তা করে আমাদের বাসাতে চলে আসলাম। এখন আগের থেকেও বেশি পরিমাণ অত্যাচার করে আমার উপর।
বাবা মাও আমার বিপক্ষে না পারি সইতে না পারি কইতে।আজ দুদিন কলেজে যেতে পারছিনা বন্ধুরা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে বলছি একটু ব্যস্ত আছি তাই।কি করে তাদের বলি আমার প্রতি এমন অত্যাচার হয়।
আজ কলেজে গেলাম গিয়ে দেখি বন্ধুদের মধ্যে একজন নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে আমি তাদের কাছে যেতেই।
রিয়াদ : এই হচ্ছে আমাদের মি.ফাজিল যার কথা তোরে এতক্ষণ বলছিলাম। তামিম এ হচ্ছে মিরা আমাদের নতুন ফ্রেন্ড আর মিরা এ হচ্ছে আমাদের ফাজিল বন্ধু ফারহান…
মিরা : হাই।
পরবর্তী পর্ব আমার প্রোফাইলে দেয়া আছে পড়ে নিতে পারেন..

চলবে……

 

2 thoughts on “মেডাম যখন বউ! রোমান্টিক প্রেমের গল্প বাংলা ভাষায়”

Leave a Comment