মোবাইল ব্যাংকিং কি? ও কি বুঝায়! সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট এর যুগে প্রযুক্তির চাদর যেন মুড়িয়ে নিয়েছে গোটা বিশ্বকে। আর তার প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি আমাদের বাংলাদেশ।ইন্টারনেট এর যুগে অভাবনীয় সব আবিস্কার যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করছে সহজ থেকে সহজতর৷ আর আমাদের জীবনধারা যে কতটা সহজতর হয়ে গেছে, সেটা আপনি তখনি বুঝতে পারবেন৷ যখন আপনি আমাদের দেশের মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর দিকে নজর রাখবেন৷ নিজের আর্থিক লেনদেন করা জন্য বাংলাদেশ Mobile Banking Service এর অবদান বলে শেষ করা যাবেনা।

আপনি যদি কয়েক বছর আগের কথা চিন্তা করেন৷ তাহলে সেই সময়ে নিজের কিন্তুু আর্থিক লেনদেন এতোটা সহজ ছিলোনা, যতোটা আমরা আজকের দিনে দেখতে পাচ্ছি৷ কারন সেই সময়ে ছিলোনা কোনো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা যার কারনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাংকের সামনে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো৷ কিন্তুু এখন আপনি Mobile Banking এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেশের এক প্রান্তে বসে থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন৷

তবে প্রযুক্তি এই বিশ্বকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেলেও আপনি এখনও এমন অনেক মানুষ কে পাবেন। যারা মূলত জানেনা যে, মোবাইল ব্যাংকিং কি (What is Mobile Banking in Bangla), মোবাইল ব্যাংকিং এর এর কাজ কি এবং মোবাইল ব্যাংকিং আমাদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে৷ আর এই বিষয় গুলো জানেনা, এমন মানুষ এর জন্যই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে৷ কারন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং রিলেটেড যে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় আছে৷ তার সব তুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং কি?

সবার শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, মোবাইল ব্যাংকিং কাকে বলে (Mobile Banking Ki). আপনি হয়তোবা বিকাশ, নগদ কিংবা রকেট এর নাম শুনে থাকবেন। এগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ঘরে বসে নিজের মোবাইল থেকে দেশে এক প্রান্তে থেকে অপর প্রান্তে টাকা লেনদেন করতে পারি। তো এই যে মোবাইলের মাধ্যমে আমরা বিকাশ বা রকেট বা এরকম অন্যান্য মাধ্যম গুলোর সাহায্য টাকা আদান প্রদান করতে পারছি। মূলত এই মাধ্যম গুলোকে বলা হয়ে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং। তাহলে যদি মোবাইল ব্যাংকিং কাকে বলে তা যদি সংজ্ঞায়িত করা যায়, তাহলে বলতে হবে যে, “কোন একটি মোবাইল অথবা ট্যাবলেট থেকে যখন আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করবেন। সেই আর্থিক লেনদেন করার মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং (Banking in Bangla)”.

মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস কি?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে মোবাইল ব্যাংকিং কি। তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগে থাকতে পারে যে Mobile Banking Apps

কাকে বলে। যদি আপনার মনে এই প্রশ্ন উঠবে জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আমাদের স্মার্টফোন গুলো তে অন্যান্য সব অ্যাপস এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস গুলো ঠিক একই রকম। তবে এই ধরনের ব্যাংকিং অ্যাপস গুলোতে মূলত আপনার আর্থিক লেনদেন করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

যেমন, আপনার ফোনে যদি Bkash Apps ইন্সটল করা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি সেই অ্যাপস দিয়ে বিকাশ এর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন, এবং আপনি আপনার টাকা লেনদেন করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে যখন আপনি অন্যান্য Mobile Banking Apps গুলো ইন্সটল করবেন, তখন আপনি সেই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠান রিলেটেড যেসব আর্থিক লেনদেনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে, সেগুলো ভোগ করতে পারবেন। আর এই ধরনের অ্যাপস গুলোকে বলা হয়ে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস।

মোবাইল ব্যাংকিং এর কাজ কি?

মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস কাকে বলে, সে সম্পর্কে আপনি উপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তো এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, এই মোবাইল ব্যাংকিং এর কাজ কি। অর্থাৎ  আপনি যদি এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং গুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি এগুলোর মাধ্যমে কি কি কাজ করতে পারবেন। তো চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

  1. একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রথম এবং প্রধান কাজ হল গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেন এর সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
  2. মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম পেমেন্ট করতে পারবেন।
  3. আপনি এই মোবাইল ব্যাংকিং কে কাজে লাগিয়ে কি পরিমাণ আর্থিক লেনদেন করেছেন, কত টাকা আপনি ব্যয় করেছেন এবং কত টাকা আপনি আয় করেছেন, সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুলো ঘরে বসেই দেখতে পারবেন।
  4. যদি আপনার সেই মোবাইল ব্যাংকিং কোন ব্যাংক একাউন্টের সাথে লিংক করা থাকে, তাহলে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সকল স্টেটমেন্ট আপনার মোবাইল দিয়ে দেখতে পারবেন।
  5. বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ইলেকট্রিসিটি বিল পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে সেই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
  6. যদি আপনি ভ্রমণপিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন যানবাহনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।
  7. এর পাশাপাশি আপনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে কত টাকা আছে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে ইত্যাদি যাবতীয় ব্যালেন্স গুলো চেক করে নিতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর কি কি কাজ রয়েছে, তার অধিকাংশ কাজ গুলো নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি সেগুলো সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন, তো চলুন এবার তাহলে অন্য বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা কি?

মূলত আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করবেন। তবে জানার বিষয় হল যে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করলে আসলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। আর এবার আমি সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি সেই Benefits of mobile banking service সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই নিচের আলোচিত আলোচনা গুলোতে নজর রাখুন। তাহলে আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

  1. এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং গুলো সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি এই ব্যাংকিং পদ্ধতি গুলো কে দিন রাত 24 ঘন্টা সপ্তাহের 7 দিন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।
  2. মনে করুন আপনি প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করেন এবং সে গ্রামে ইন্টারনেট কানেকশন খুব একটা ভালো নয় কিন্তু সেই মুহূর্তে যদি আপনার হাতে একটি বাটন মোবাইল থাকে তাহলে আপনি সেই মোবাইলের মাধ্যমে ইউএসডি কোড ডায়াল করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।
  3. আপনার সেই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে কত টাকা আসলো, কত টাকা আপনার একাউন্ট থেকে চলে গেল, এবং বর্তমানে কত টাকা ব্যালেন্স আছে তা আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইলের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারবেন।
  4. মোবাইল ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি নিজের ঘরে বসেই দেশের যেকোন প্রান্তে থাকা মানুষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
  5. আমাদের প্রতি মাসে বিভিন্ন ধরনের বিল পেমেন্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল ইত্যাদি। তো সেই বিল গুলো আপনি খুব সহজেই নিজের ঘরে বসে থেকেই এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
  6. যারা মূলত অনলাইন শপিং করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সবচেয়ে উপকারী ভূমিকা পালন করেছে। কারণ বর্তমান সময়ে এই মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করে ঘরে বসে থেকেই পেমেন্ট করতে পারবেন।
  7. এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাংক এর সাথে জড়িত যেসব সেবা রয়েছে, সেগুলো কিন্তু আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমেই মেইনটেইন করতে পারবেন। এবং সেই সেবা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক, মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে যেসব সুবিধা রয়েছে, তার অধিকাংশ সুবিধা গুলো নিয়ে আমি উপরে আলোচনা করেছি। তবে আলোচিত আলোচনায় উল্লেখিত সুবিধা গুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সে গুলো আপনি তখনই জানতে পারবেন, যখন আপনি নিজে থেকে কোন একটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা

মুদ্রার যেমন এপিঠ ওপিঠ থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে এই মোবাইল ব্যাংকিং এর নানা রকম সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। আর আপনি যদি সেই অসুবিধা গুলোল বিষয়ে অবগত না থাকেন। তাহলে কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারে আপনার বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে এখন জানার বিষয় হল যে মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো কি কি। যদি আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান, তাহলে আপনাকে নিচের আলোচনা গুলোতে নজর রাখতে হবে। কেননা এবার আমি সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

  1. আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মাধ্যমে যেকোন স্থানে, যেকোনো সময় টাকা লেনদেন করা সম্ভব। আর এই সুবিধা পাওয়ার ফলে আপনার আর্থিক ব্যয় এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  2. প্রতিটা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা কে পরিচালনা করার জন্য গ্রাহকদের কাছে একটি গোপন পিন কোড থাকে। এখন আপনার সেই পিন কোড যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ জেনে ফেলে, তাহলে কিন্তু সে আপনার অনুপস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট টি পরিচালনা করতে পারবে।
  3. অনেক সময় হ্যাকারদের দেওয়া ভুয়া এসএমএসের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, যদি আপনি সেই হ্যাকারদের দেওয়া ভুয়া এস এম এস টি সম্পর্কে অবগত না থাকেন।
  4. যদি কোন কারণে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে সংযুক্ত থাকা মোবাইলটা চুরি হয়ে যায় কিংবা হারিয়ে ফেলেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার একাউন্টের মালিকানা আপনি সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে ফেলবেন। এবং এই সময়ে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট এ জমা থাকা টাকা গুলো যা হাতে আপনার মোবাইলটি থাকবে, সে উত্তোলন করতে পারবে।
  5. যেহেতু মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্য সেই অনলাইন কেনাকাটা করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তো মোবাইল ব্যাংকিং এর যেসব অসুবিধা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তবে সেই অসুবিধা গুলো তখনই সম্পন্ন হবে, যখন আপনি অসাবধানতা বশত এই ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং গুলোকে ব্যবহার করবেন। তবে আপনি যদি সাবধানতার সাথে এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেন, তাহলে এই অসুবিধা গুলো আপনার ক্ষেত্রে তেমন একটা কার্যকরী হবে না বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর তালিকা

প্রিয় পাঠক, উপরের আলোচনা থেকে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং কি, মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আশা করি আলোচিত সেই আলোচনা গুলো আপনি খুব সহজ ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তবে এখন আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে কত গুলো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু আছে। যে গুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসেই আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। তো চলুন এবার তাহলে বাংলাদেশের সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর তালিকা এবং সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

01- Bkash

বর্তমানে বাংলাদেশে অন্যান্য সব মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর তুলনায় বিকাশ সবার শীর্ষে অবস্থান করে আছে। কেননা আজকের দিনে বিকাশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। বিকাশ নামক এই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটির সূচনা হয়েছিল 2011 সালে। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হল ব্রাক ব্যাংক। একজন বিকাশ গ্রাহক তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে *247# ডায়াল করলেই বিকাশের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন এর সেবা গুলো ভোগ করতে পারবে। যেমন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি।

02- Nagad

বিকাশ নামক এই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাথে সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বর্তমান সময়ে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। খুব কম পরিমাণে আর্থিক লেনদেন ফি প্রদান করে যেকোনো ধরনের লেনদেন করার জন্য নগদ হলো অন্যতম একটি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম। নগদ নামক এই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এর সূচনা হয়েছিল 2018 সালে। এবং বর্তমান সময় অবধি নগদ তাদের ব্যবহারকারীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। যেমন, মোবাইল রিচার্জ, সেন্ড মানি, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট ইত্যাদি।

03- Rocket

বর্তমান বাংলাদেশের অন্যান্য সব ব্যাংক গুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক হলো আমাদের অধিকাংশ মানুষের কাছে পরিচিত। আর এই ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়েছে, যে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে রকেট। আর সে কারণে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার দিক থেকে কোন অংশে কম নয় এই রকেট মোবাইল ব্যাংকিং সেবা টি। রকেট এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। যেমন, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আপনি এটিএম বুথ এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন করে নিতে পারবেন।

04- SureCash

রূপালী ব্যাংক হলো বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আর এই রূপালী ব্যাংক থেকে প্রদত্ত বিশেষ এক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়েছে, যে সেবার নাম দেওয়া হয়েছে শিওর ক্যাশ। রূপালী ব্যাংক থেকে চালু করা সেই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিল 2014 সালে। আর সেই সময় থেকেই এখন অব্দি শিওর ক্যাশ তাদের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রকম আর্থিক লেনদেন করার সেবা দিয়ে আসছে। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা গুলোর মত আপনি শিওর ক্যাশের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। যেমন, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, সরকারি বেতন গ্রহণ, ভাতা সহো আপনি আপনার প্রয়োজনীয় অর্থ এটিএম বুথের মাধ্যমে উত্তোলন করে নিতে পারবেন।

05- Ucash

ইউসিবি ব্যাংক থেকে প্রদত্ত বিশেষ এক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয়েছে। এবং সেই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ইউ ক্যাশ। মূলত ইউ ক্যাশ এর সর্বপ্রথম যাত্রা শুরু হয় 2013 সালে, এবং সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত তারা সমান ভাবে তাদের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রকম লেনদেন করার সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গুলোর মত আপনি এই ইউ ক্যাশ এর মাধ্যমে নানা রকম আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। যেমন, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, বেতন গ্রহণ সহো বিল পেমেন্ট এর মত সেবা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত লেনদেন করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হলো মোবাইল ব্যাংকিং। যে মাধ্যম কে কাজে লাগিয়ে আপনি দেশের এক প্রান্ত থেকে বসে থেকে দেশের অন্য প্রান্তে খুব সহজেই এবং খুব দ্রুততার সাথে টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। আর যে কারণে এ ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গুলো ক্রমাগত ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

আর সে কারণে আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং রিলেটেড বেশ কিছু অজানা বিষয় রয়েছে, সেগুলো জেনে নেওয়াটা বেশ জরুরি একটা বিষয়। সে জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি মোবাইল ব্যাংকিং কি এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং রিলেটেড এই সমস্ত বিষয় গুলো জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। আর আপনি যদি নানা ধরনের অজানা বিষয় গুলোকে খুব সহজভাবে জেনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment