বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বাংলা – বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ ও কবিতা pdf

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য বাংলা – বিদায় অনুষ্ঠানের ছন্দ ও কবিতা pdf

অনেকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য কিভাবে দিতে হয় বা নিজের মনের কথা কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় তা জানেন না। সাধারনত দেখা যায় কিভাবে বক্তব্য দিতে হয় তা জানা থাকলে ও বলতে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায়। তাদের জন্য আমাদের এই পোস্ট। আসুন আমরা জেনে নি বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য । 

বিদায় অনুষ্ঠান হলো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় নেয়া। বিদায় অনুষ্ঠান অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন কর্মসংস্থান থেকে বদলি,অবসর,বিদ্যালয় থেকে যথা ক্লাস শেষ করার পর অন্য ক্লাস-এ ভর্তি হওয়ার বিদায়। তো আজ আমরা আলোচনা করবো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য । 

বিদায় অনুষ্ঠানের সাথে পালিত হয় শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিচ্ছেদ ও ক্লাসমেট দের সাথে শেষ আলাপ এবং শিক্ষক এর সাথে ও শিক্ষার্থীদের শেষ আলাপ হয়। এই বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সাধারণত নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষক মিলে এই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন ও উপস্থাপন করে থাকে। দেখা যায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বা বিদ্যালয়ের সিনিয়র বা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র বা নিচের ক্লাসের ছেলেমেয়ে এই অনুষ্ঠান করে থাকে বড়ো ভাই/ বোন দের জন্য। অনুষ্ঠানের সাথে বিদায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের মনের কথা বক্তব্যতে উপস্থাপন করে। বিদায় অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যায় প্রধান অতিথি, প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির মানুষজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করার বিশেষ একজনকে সভাপতিত্ব করা হয়। মোট কথায় বলা যায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করার জন্য কিছু সংখ্যক মানুষ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় ও এই কমিটির মানুষগুলো মিলে বিদায় অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব পালন করে থাকে। এখন আমরা বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য -র দিকে আলোচনা করি। বিদায় অনুষ্ঠানের এখানে বক্তব্য রাখেন যাকে প্রধান অতিথি করা হয় ও বক্তব্য রাখেন উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ও শিক্ষিকা মন্ডল, আরো বক্তব্য রাখেন জুনিয়র বা ছোটো ভাই/ বোনেরা এবং বক্তব্যের রাখেন বিদায়ী শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিদায়ী শিক্ষার্থীবৃন্দরা বক্তব্যতে তুলে ধরেন তাদের সাথে শিক্ষকদের ব্যবহার আর বিদ্যালয়ের সকল সৃতি। শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডল বক্তব্য তুলে ধরেন ছাত্র/ ছাত্রী দের আচারন তাদের স্মৃতি ও তাদের মনের কথা ইত্যাদি। এর-ই সাথে তুলো ধরা হয় স্কুলের নানা গুনাগুন, শিক্ষকদের কর্মকান্ড। যার জন্য ছাত্র/ছাত্রীরা এতোটা কৃতজ্ঞ বিদ্যালয়ের প্রতি। বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এই রকম-ই হয়ে থাকে। যারা জানেন না তারা আজ জানতে পারবেন বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সম্পর্কে এবং ভালো ধারনা লাভ করবেন বলে মনে করি।

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য :

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য

                        তবু যেতে দিতে হয়

                                তবু চলে যায়। ❝

এরুপ ছন্দ তৈরি করে ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য দিয়ে বক্তব্য সুন্দর করে থাকেন। এছারা ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে অনেক শিক্ষক বা শিক্ষিকা আছে যারা ভালোভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না। তাদের জন্য আমাদের পোস্ট বিস্তারিত দেয়া থাকবে ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য। তাহলে শুরু করা যাক বিস্তারিত আলোচনা। তাছাড়াও কয়েকটি বিদায়ের ছন্দ উল্লেখ থাকবে।

               ” ক্ষমা করো 

                      ধৈর্য ধরো হোক সুন্দরতর বিদায়ের ক্ষণ।

                মৃত্যু নয় ধ্বংস নয়, 

                          নহে বিচ্ছেদের ভয়।

                                  শুধু সমাপন “

এই উক্তি গুলো বক্তব্যতে ব্যবহার করলে বক্তব্য টি হয়ে ওঠে সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষক বা শিক্ষিকা মন্ডলী তারা তাদের উপস্থিত বুদ্ধি দিয়েই তৈরি করে নেয় ও অনেক সময় এটা ও দেখা যায় যে শিক্ষক তার মনের কথা সুন্দর ভাবে বুঝানোর জন্য সুন্দর সুন্দর উক্তি ব্যবহার করে থাকেন। তার মনে এটা নয় যে শুধু শিক্ষকগন বা শিক্ষিকাগন এই উক্তি ব্যবহার করে বক্তব্য দিতে পারবে আর ঔন্য ছাত্র বা ছাত্রী রা উক্তি/ছন্দ ব্যবহার করে বক্তব্য দিতে পারবেন না। বক্তব্য সুন্দর করার জন্য ব্যবহার সবাই করতে পারবেন যেমন একটি ছন্দ /উক্তি রয়েছে যা সবাই ব্যবহার করতে পারে।

              ❞ যেতে নাহি দিব হায় 

                          তবু যেতে দিতে হয়

                                তবু চলে যায়। ❝

এ সকল উক্তি বা ছন্দ ব্যবহার করে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা ও এই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য  দিতে পারেন। তাই করো জন্য বাধ্য বাধ্যকতা কোনো নিয়ম নেই। এগুলো ছাড়া ও বক্তব্য সুন্দর করা সম্ভব যেমন ইংরেজিতে বক্তব্য দেয়া। তবে আগের সময় কার বেশির ভাগ দেখা যায় বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিতে কিন্তু বর্তমানে সবাই মডার্ন হওয়ার কারনে ইংরেজিতে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তবে এখনকার সময় ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক ও শিক্ষিকা মন্ডলী তাদের ইংরেজিতে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য-র জন্য খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই নিম্ন কিন্তু ইংরেজি উক্তি দেওয়া হলো এবং এগুলো ব্যবহার করে আপনিও বক্তব্যটি সুন্দর করে তুলতে পারেন।

There is a long way to go, so without this bond, in the heart of pain, the tears of laughter are flowing. So today I am leaving Maya Sussan standing in front, so I can give a farewell speech. 

Why does age increase, childhood friends are lost. Losing everything, adding to the list of losers.

” In the pain of farewell

watery eyes,

You are still in sight

I look blindly “

”What shall I say to you today?

Many old memories are only remembered today.”

I don’t want to say goodbye

But we are really big losers

Time is passing like time

Think how many memories there are.

Some friendships never end

In the depths of the mind, the abyss is mixed

So, telling my heart touching friends

Goodbye, friend.

Say goodbye to the body forever

Many people were on this journey

I’m free to float in the air now.

”At the time of farewell, Akhi was in agony

I call people who make others cry while leaving.”

এগুলো উক্ত ব্যবহার করে আপনি আপনার মনের ভাব বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিতে পারবেন। এছারা আপনার মনোভাব দিয়ে তৈরি করতে পারবেন আপনার নিজের পছন্দ মতো উক্তি বা ছন্দ। এছারা কিছু ইংরেজিতে মন্তব্য দেওয়া হলো:

Goodbye is like a poem of separation, a poem that makes the heart heavy with sadness, the eyes are full of tears. Today is your farewell time. farewell ceremony This farewell is only for a lifetime. You will remain in our hearts forever. This farewell is a step to move forward, realize your immortal potential, build your own life with your own merit, intelligence and hard work. And Love my students. 

Forgive, be patient, let there be a better parting time. Not death, not destruction, not fear of separation. i just finish My sincere respect and love to all my fellow teachers and students present at today’s farewell ceremony. And to my beloved students sitting in front of the stage, my best wishes and love from the bottom of my heart.

Even if you leave this school physically, your memory will never be erased from the school grounds. This farewell to the playground of this life is as sad as it is joyful because seeing the nectar of life’s potential, you will move forward, grasping life’s success by the handful. 

আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং এগুলো ব্যবহার এর মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য টি সুন্দর হয়ে উঠবে। এছারা যারা কিছু বাংলা বলতে তাদের জন্য  নিম্নে দেওয়া হলো। 

বিদায় হলো বিচ্ছেদের এক কবিতা। যে কবিতা দুঃখময় করে তোলে ও দুই চোখ দিয়ে জল বেড়িয়ে আসে। আজ আপনাদের বিদায়ের সময় হয়ে গেলো। এই বিদায় হলো ক্ষনিকের জন্য। 

শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:

শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

অনেকেই আছেন যারা শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এই সম্পর্কে তথ্য খোজ করে থাকেন। তাই তাদের জন্য এমনই শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য নিচে দেওয়া হলো :

(স্কুলের বা কলেজের নাম) কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে আজ আমি দুঃখ ভারা ক্রান্ত মনে এখানে এসেছি দু-চারটি কথা বলার জন্য। আমি এই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। আমি এখানে দীর্ঘদিন যাবৎ লেখাপড়া করছি। আমাদের বিদ্যালয়ে আজ বিদায় অনুষ্ঠান। আমরা সকলেই জানি আমাদের মধ্য থেকে শ্রদ্ধেয় (শিক্ষকের নাম) স্যার বিদায় নিয়ে চলে যাবেন। এতদিন আমরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি স্যার  সবসময় সব শিক্ষার্থীদেরকেই খুব ভালোবাসতেন। সকল শিক্ষার্থীরা  স্যারকে খুব ভালোবাসেন। হয়তো পড়ানোর সময় দুষ্টামি করলে স্যার একটু বকাবকি করতো কিন্তু স্যার  সবাইকে আদরও করতেন। স্যার গল্পের ছলে সবাইকে ভালোভাবে পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। স্যার  ভালো খারাপ দেখতেন না সবাইকেই সমান চোখে দেখতেন এবং সবাইকেই ভালোবাসতেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা একটু গরিব, প্রাইভেট পড়ার মতো সামর্থ্য নেই (শিক্ষকের নাম) স্যার তাদেরকে বিনামুল্যে প্রাইভেট পড়িয়ে দিত। এমনকি অনেককে স্কুলের খারা-কলমও কিনে দিয়েছেন। যে যখন যে সমস্যা নিয়েই ওনার কাছে যেও তাতে স্যার  যে কাজেই থাকতেন সবাইকে সব সমস্যার সমাধান করে দিতেন। ওনার মতো একজন ভালো শিক্ষক আজকে আমাদের মধ্যে থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে এটা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই এটাই নিয়ম। কিন্তু স্যারের কাছে যে একবার পড়েছে সে স্যারকে কখনো ভুলতে পারবে না। (শিক্ষকের নাম) স্যার আমাদের কোনো কিছু শিক্ষকের মতো শাসন করে বুঝাতেন না স্যার  সবসময় চেষ্টা করতেন একজন বন্ধুর মত সকল শিক্ষার্থীকে পড়া বুঝিয়ে দিতেন। স্যার  যেমন সবাইকে ভালোবাসতেন তেমনি ভাবে দুষ্টামি করলে শাসনও করতেন। টিফিনের সময় কারো কাছে খাবার জন্য টাকা না থাকলে তাদেরকে টাকা দিয়েও সাহায্য করতেন স্যার। এক কথায় বলতে গেলে স্যার  সকল শিক্ষার্থীবৃন্দকে নিজের পরিবারের সদস্যের মতোই দেখতেন। সকলকে নিজের সন্তানের মত ভালোবাসতেন। এছাড়াও সকল শিক্ষকবৃন্দ ও স্যারকে খুব পছন্দ করতেন। স্যার  সকল শিক্ষকের থেকেই একটু ভিন্ন ছিলেন। স্যার  আমাদের গানের ছলে, খেলার ছলে একটু অন্যভাবে পড়া বুঝানোর চেষ্টা করত। যাতে আমরা সবাই খুব ভালোভাবে পড়াটা বুঝতে পারি ও সবসময় মনে রাখতে পারি। আর ওনার ক্লাসে সকলেরই পড়া হতো অন্যান্য ক্লাসে পড়া না পারলেও স্যারের ক্লাসে ঠিকই সবাই পড়া পারত। এজন্য সবাই ওনার ক্লাসটার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম। স্যার আমাদের সাথে একদম বন্ধুর মতই মিশতেন। কে কি দিয়ে খেয়ে এসেছি, কার কি সমস্যা, কারো মন খারাপ দেখলে তার কাছে গিয়ে তার সমস্যার কারণ জানতো এবং তার সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করত। আজকে হয়তো স্যার আমাদের মাঝে থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবে। স্যার আমাদের স্কুল থেকে বিদায় নিলেও আমাদের মন থেকে কখনো বিদায় নিতে পারবে না। আর আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে আমরা যেমন স্যারকে কখনো ভুলতে পারবো না ঠিক তেমনিভাবে স্যার ও আমাদের কোনদিনও ভুলতে পারবেনা। কিভাবে স্যারকে ভুলবো যেখানে সবাই টিফিন খেত নিজেদের জায়গায় বসে সেখানে স্যার আমাদের সাথেই বসে একসাথে টিফিন খেত। 

এছাড়াও ওনার মত একজন সৎ,গুনি ও জ্ঞানী মানুষ পাওয়া বিরল। স্যার যেমন আমাদের ভালোভাবে পড়ালেখা শিখাতেন। পড়ালেখার পাশাপাশি স্যার আমাদের সবসময় সত্যবাদী হওয়ার কথা বলতেন। বলতেন তোমরা সকলে কখনো কারো সাথে মিথ্যা কথা বলবে না সবসময় চেষ্টা করবে সত্য কথা বলার। চেষ্টা করবে দরিদ্রদের সাহায্য করার। কারো ভালো করতে না পারলেও খারাপ করার কথা কখনো ভাববেও না। স্যার  সবসময় আমাদের ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাইত। ওনার ব্যাপারে যতই বলি ততই কম। স্যার আপনি হলেন আমাদের সকলের আদর্শ। আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আপনার কাছ থেকে আমরা শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি বাস্তব জীবনেরও অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি। আপনি শুধু আমাদের শিক্ষা দেননি তার পাশাপাশি আপনি আমাদের নৈতিক মুল্যবোধও শিখিয়েছেন। আপনি শিখিয়েছেন কিভাবে মা-বাবাকে সম্মান করতে হয়, কিভাবে বড়দের সাথে কথা বলতে হয়। আপনি আমাদের ক্লাসে শুধু বই পড়ান নি পড়ানোর পাশাপাশি আমাদের সাথে হাসি ঠাট্টাও করেছেন যার কারনে আমাদের পড়ার প্রতি আর একঘেয়েমি আসত না। স্যার আজকে আপনার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আপনার সাথে কি আর কখনো দেখা হবে? জানিনা আপনার মতো শিক্ষক আর পাবো কিনা। তবুও এই আসা করবো যে আপনার বিদায়ের পর যেন আপনার মতোন কোন ভালো শিক্ষক আমাদের স্কুলে আসে। সেও যেন আপনার মতোই আমাদের সকলকে ভালোবাসে। আপনার মতোই যেন সবাইকে আনন্দের সাথে পাঠ দান করান। 

আমি আর বেশি কথা বাড়িয়ে মূল্যক্ষন হেলায় হারিতে চাইনা । (শিক্ষকের নাম) স্যার শুধু আমাদের শিক্ষক নয় স্যার আমাদের অভিভাবকের মতই খেয়াল রাখতেন। স্যারের মত একজন শিক্ষক আমরা আমাদের জীবনে পেয়ে নিজেদের জীবনকে ধন্য মনে করি। কারো শরীর খারাপ হলে স্যার তার বাড়ি গিয়ে তার খোঁজ খবর নিতেন। এমনকি পরিক্ষার সময় স্যার প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখত ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ছে কিনা অথবা কোনো বিষয়ে সমস্যা আছে কিনা ছাত্র-ছাত্রীদের। পরিক্ষার আগে স্যার  সবাইকে নিয়ে এক্সট্রা ক্লাস করাতেন। কার কোন বিষয়ে সমস্যা আছে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। এবং সকলের সমস্যার সমাধান যতক্ষণে না হতো ততক্ষণ নিজেও বাড়ি যেত না আর কাউকে বাড়ি যেতেও দিত না। স্যর প্রায়ই সকলকে টুকটাক খাবার কিনে খাওয়াতো। এতে স্যার  খুব আনন্দ পেত তা আমরা ওনার চেহার দেখে বেশ ভালোমতোই বুঝতে পারতাম। 

আমদের বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী কুপথে চলে যাচ্ছিল  তখন আপনি তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে কোনো মার-ধর না করে সেই খারাপ পথ থেকে উঠিয়ে এনেছিলেন। আপনার মতো শিক্ষকের তুলনা হয়না। হয়তো আপনার মতো শিক্ষক আমাদের মাঝে পাবো না আর কভু। 

আমি আর এই ক্ষনের কথা না বাড়িয়ে নিলাম। আজ আপনি আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে জাবেন, শত কষ্ট হলেও এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আপনাকে আমরা কোনদিন ভুলতে পারবো না। সবসময় চাইবো আপনি যেখানেই থাকুন না কেন সবসময় যেন ভালো থাকেন। আপনি আপনার পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটান। 

 আসাকরি আপনিও আমাদের মনে রাখবেন। সবসময় চাইবো আপনার দেখানো পথ অনুসরণ করতে। আপনার মতো একজন সৎ মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবো। চেষ্টা করবো আপনার মতোই সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতে। আর বেশি কথায় যাবোনা। আমার বক্তব্যে কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই বলে আমি আমার বক্তব্য এখানেই সমাপ্ত করছি।

উপরে চেষ্টা করেছি শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য নিয়ে একটা বক্তব্য তুলে ধরার। আশাকরি উপরে তথ্য পড়ে আপনি খুব ভালোভাবেই কোনো শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য ভালোভাবেই উপস্থাপন করতে পারবেন। 

বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:

বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

আমরা যারা স্কুলে বা কলেজে লেখাপড়া করি আমাদের একসময় না একসময় স্কুল বা কলেজ থেকে বিদায় নিতে হয়। পর্যায়ক্রমে এমন ভাবে চলতে থাকে। এক শ্রেনি যখন বিদায় নেয় তার নিচেও  আরো শ্রেনি থাকে, তারা তাদের ছোট ভাই বা বোন। এই ছোট ভাই বা বোনেরা বড় ভাইয়েরা যখন বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন  বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিয়ে থাকেন এই ছোট ভাই-বোনেরা। আজ আমরা এই বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত জানব। 

ছোটরা বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে গিয়ে সম্মানিত প্রধানশিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও অতিথিদের আন্তরিক ভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করতে হয়। 

বক্তব্য 

(স্কুলের বা কলেজের নাম) কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে আজ আমি এখানে এসেছি বড় ভাইদের এই বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে দু-চারটি কথা বলতে। 

দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করছি। আপনারা আমাদের সিনিয়ার বড় ভাই। এতোদিন ধরে একসাথে এক যায়গায় আছি আপনারা যে আমাদের বড় ভাই তেমনটা মনেই হয়নি। আপনারা আমাদের সাথে বন্ধুর মতো মিশেছেন। কখনো আমাদের সাথে কোনো ঝামেলা বা মারধর করেন নি। আমাদের সাথে একসাথে মিলে খেলাধুলা করেছেন । আবার দুষ্টামি করলে বড় ভাইয়ের মতো শাসনও করেছেন। এই দীর্ঘদিনের এই ভালোবাসা যার কারনে আপনাদের এই বিদায়ে খুব কষ্টই হচ্ছে আমাদের। কবির ভাষায় “যেতে নাহি দিব হায়,তবু যেন দিতে হয় তবু চলে যায় ” খুব ইচ্ছে করছে আপনাদেরকে  আটকে রাখতেন। কিন্তু কিছু করার নেই একদিন আমাদেরকেও এভাবে যেতে হবে। হয়তো এখন একটু কষ্ট হবে কিন্তু এখানথেকেই আপনাদের জীবনযাত্রা শুরু । আপনাদের উন্নতির শিখরে উঠতে হবে, দেশকে আরো উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হবে। 

আজকে মন খারাপ নিয়ে আপনাদের বিদায় দিতে হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এ বিদায় চির বিদায় নয়। আপনারা আমাদের বড় ভাই এতোদিন আমরা আপনাদের অনুসরন করে গেছি। আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সকলেরই একদিন বিদায় নিতে হবে। এই দিনটি একদিন আমাদের জীবনেও আসবে, এই কষ্ট একদিন আমাদেরও সয্য করতে হবে। তখন আমরা আবার আপনাদের কাছাকাছি চলে আসবো। এই বিদায় শিক্ষার এক নতুন ধাপে ওঠার জন্য তাই মন খারাপের পাশাপাশি এটা ভেবে আনন্দও হচ্ছে যে আপনারা শিক্ষার আরেক ধাপ উপরে উঠবে। আপনাদের জন্য আমাদের সকলের দোয়া সবসময় থাকবে। আমরা এই প্রত্যাসা সবসময় করবো যে আপনারা যেন আরো ভালো যায়গায় যেতে পারেন। আজকে পুরনো দিনগুলোর কথা খুব মনে পরছে যখন আমরা একসাথে খেলেধুলা করেছি,মনে পরছে একসাথে কাটানো দিনগুলো। এই শিক্ষা জীবনটা খুবই অল্প সময় এই সময় অপচয় না করে আমাদের উচিত ভালোভাবে শিক্ষা গ্রহন করা তাহলে ভবিষ্যৎ  ভালো ফল পাওয়া যায়। তাই আমি বড়োভাইদের উদ্দেশ্য করে বলছি, আপনারা ভালোভাবো শিক্ষা অর্জন করো যাতে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতীর কল্যান করতে পারেন। 

এতোদিন একসাথে একই প্রতিষ্ঠানে আমরা শিক্ষা অর্জন করেছি। হয়তো আপনাদের সাথে কখনো কখনো না বুঝে অনেক খারাপ আচরন করেছি তার জন্য আমরা আপনাদের কাছে লজ্জিত। আপনারা নিজেদের ছোটভাই মনেকরে আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য এই বক্তব্যে আমার তরফ থেকে ছোট একটি ছন্দ। 

“বহুদিন বহুকাল রয়েছি এক সাথে, 

ছোট বড় ভাই ভাই রই মোরা সবে সাথে”

আমি যানি স্যারদেরও বড় ভাইদের জন্য প্রচুর কষ্টই হবে। ওনারা আপনাদের বকাবকি হয়তো করেছে,আবার বেশি দুষ্টমি করলে হয়তো মেরেওছেন। কিন্তু আপনারা আপনাদের খুব ভালোবাসেন। ওনারা এটাই চান যে আমরা যেন ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জীবনে বড় কিছু করতে পরি। আজ দুক্ষ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদেরকে বিদায় দিতে হবে, কিন্তু এ বিদায় দুঃখের ন্যায় এ বিদায় কষ্টের নয়।  

আমি আর বেশি কথা বাড়াবো না আজকে আপনাদের বিদায় দিতে ইচ্ছে করছে না। তবুও আপনাদের বিদায় দিতে হবে। সব সময় এই প্রত্যাসা করবো যে আপনারা যেন ভালো থাক। আপনারা যেন ভালো কোন যায়গায় স্থান করে নিতে পারেন। আজকে হয়তো আমরা বিভিন্ন জনে বিভিন্ন কথা বলছি। আপনাদের হয়তো বিভিন্নভাবে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু একদিন আমাদেরও এরকম বিদায়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে, সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়ার যে কষ্ট তা আমাদেরকেও সহ্য করতে হবে। এক জায়গায় এতদিন ধরে লেখাপড়া করা, খেলাধুলা করা, দুষ্টুমি করা, ক্লাসের স্যারদের হাতে পড়া না পারলে মার খাওয়া, ক্লাসে সবাই মিলে কাগজ ছোড়াছুড়ি করা। এসবের কথা মনে থেকে যাবে আজীবন। আর আমরাও আপনাদের কথা কখনো ভুলতে পারবো না। আপনারা সব সময় আমাদের সব সময় সাহায্য করেছেন। কোনো সময় পড়ায় সমস্যা হলে টিফিন টাইমে আপনাদের কাছে সেই পড়া নিয়ে গেলে আপনারা আমাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতেন।  কারো কাছে টিফিনের টাকা না থাকলে আপনারা টিফিনের টাকাদিয়ে সাহায্য করেছেন । আপনাদের মত বড় ভাইদের কথা কখনো ভুলতে পারবো না। 

আমি আমার বক্তব্য এখানেই সমাপ্ত করছি। আমার বক্তব্যে যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ছোট ভাই ভেবে সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের কথা সবসময় মনে রাখবো। আপনারাও আমাদের কখনো ভুলে যাবেন না । এই বলে আমি আমার বক্তব্য সমাপ্ত করছি। 

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

স্কুল থেকে একদিন সকলেরই বিদায় নিতে হয়। বিদায় বেলায় সকলেই চায় শেষ সময়ে সকলের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলতে। সবাই ই চায় স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার জন্য। কিন্তু কিভাবে এই বক্তব্য  দিতে তা ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন না। তাই তাদের কাজকে সহজ করার জন্য সংক্ষিপ্ত ভাবে একটি স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য নিচে উপস্থাপন করা হলো :

স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রথমেই মঞ্চে গিয়ে সম্মানিত প্রধান শিক্ষক, সম্মানিত সভাপতি ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলিকে সালাম জানিয়ে ও ছোট ভাইবোনদের ভালোবাসা জানিয়ে তুমি তোমার বক্তব্য শুরু করবে। 

প্রথমে স্যারদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। আমি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি। এই দীর্ঘ যাত্রায় আমি অনেক শিক্ষকের পাঠদানই গ্রহন করেছি। শিক্ষকরা সব সময়ই চাই তো আমাদের ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করতে। ওনারা আমাদের পড়ানোর সুবাদে আমরা দুষ্টুমি করলে হয়তো একটু বকাবকি করত। আবার বেশি দুষ্টুমি করলে শাসন করতেন কিন্তু তখন হয়তো খারাপ লাগত কিন্তু এখন বুঝি আমাদের শাসন করে কতোটা ভালো করেছে। সেদিনকে ওই শাসন না করলে আজকে হয়তো আমরা অবাধ্য হয়ে অকালেই ঝরে পরতাম। আমরা আর শিক্ষার আলোতে পৌছাতে পারতাম না। স্যারেরা যে আমাদের কতোটা ভালো বাসত তা এখন বুঝি। কোন শিক্ষার্থী একটু গরিব হলে আপনারা তাদেরকে সাহায্য করেছেন। এমনকি তাদের খাতা কলম ও কিনে দিয়েছেন। আপনাদের মত শিক্ষক পেয়ে আজ আমরা নিজেদের গর্ববোধ করি। অনেক সময় হয়তো আমরা না বুঝে আপনাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছি। সে কারনে আজ আমরা সকলে লজ্জিত। দয়া করে আপনারা নিজেদের সন্তান মনে করে আমাদের সকল ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আমরা এই সময় প্রযন্ত আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই এই স্কুলে কাটিয়েছি। তাই আজকে বিদায় বেলা খুব কষ্ট হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে এই স্কুল ছেরে যেতে। বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে ফুটবল খেলা এই স্কুল মাঠে, সবাই মিলে ছুটাছুটি করা, একসাথে মিলে টিফিন খাওয়া, ক্লাসে সবাই মিলে কাগজ ছোড়াছুড়ি খেলা এসব কথা আজকে খুব মনেপরছে। আর পুরনো দিনগুলো কখনো ফিরে পাবোনা। তবে এটা ভেবে কষ্ট পেলে হবেনা। আজ এখান থেকে বিদায় মানে শিক্ষার আরেকটা নতুন ধাপের শুরু। 

এখানে উপস্থিত আছে আমার প্রানপ্রিয় ছোট ভাই ও বোনেরা। আপনাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই স্কুলে লেখাপড়া করছি। অনেক সময় হয়তো তোমরা দুষ্টুমি করলে আপনাদের একটু বকাবকি করেছি। কিন্তু তাই বলে তোমরা আমাদের উপর রাগ থেকোনা। বিদায় বেলা আপনাদের জন্যও খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। এতোদিন ছোটরা বড়রা সবাই মিলেমিশে খেলাধুলা করেছি। আপনাদের কাছে কোনো সহায্য চাইলে তোমরা ছোটরা সাথা সাথেই আমাদের কাজে সাহায্য করেছ। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছোটরা বড়রা সবাই মিলে একসাথে কাজ করে অনুষ্ঠানের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। আশা করি তোমরাও আমাদের কখনো ভুলতে পারবে না। আর আমরাও আপনাদের কখনো ভুলতে পারবো না। 

আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আপনাদের মধ্যে কেউ এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবে। এটাই নিয়ম আজ আমরা বিদায় নিচ্ছি, ভবিষ্যতে আপনাদেরও এবাবে বিদায় নিতে হবে। আজকে আমরা বুঝতে পারছি এতোদিন পড়ালেখার পর এই বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেওয়াটা কত কষ্টের। তোমরাও একদিন বুঝবে এই কষ্টটা। এমনি ভাবে আপনাদেরও এই বিদ্যালয় ছেরে চলে যেতে হবে। চলে যেতে হবে এতোদিনের পরিচিত বন্ধু বান্ধব, শিক্ষকমন্ডলিকে ছেড়ে।

স্যারদের কথা খুব মনে পরবে। সকল স্যারেরাই আমাদের কতো ভালো বাসত। কত ভালোাভাবে পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত। যানিনা ভবিষ্যতে আপনাদের মত স্যার আর কখনো পাবো কিনা। আপনারা নিজেদের সন্তানের মত স্নেহ করতেন আমাদের। আমাদের গল্পের ছলে পড়া বোঝানোর চেষ্টা করতেন। প্রিয় সহপাঠীদের উদ্দেশ্য আর কিবা বলব। আপনাদের মতো ভালো বন্ধু পেয়ে আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি। একসাথে কটানো কত মুহুর্ত, কত সৃতি। সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আজ বিদায়ের পর আমরা হয়তো বিভিন্ন জনে বিভিন্ন স্থানে চলে যাবো। ভর্তি হবো ভিন্ন ভিন্ন কলেজে কিন্তু মনে থেকে যাবে সেই পুবনো ক্লাসরুমের সৃতিগুলো। সবাই মিলে একসাথে ছোটাছুটি, একসাথে বসে টিফিন খাওয়া ইত্যাদি। যেখানেই যাইনা কেন আপনাদের কখনো ভুলতে পারবো না। সারাজীবন স্মৃতিতে থেকে যাবে আপনাদের কথা। 

 আমি আজ এই ক্ষনে বেশি কথা বারাবো না এই দুঃখের মাঝে। আজকে আপনাদের বিদায় বিদায় নয় এ এক ফিরে আসা। যদিও এটা শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবেই। আমাদের মন থেকে বিদায় দেওয়া বা বিদায় নেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের বিদায় নেওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকা সত্যেও বিদায় নিতে হবে, এটাই নিয়ম। স্যারেরা এতোদিন আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন এরজন্য আপনাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা ভালোভাবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে অংশগ্রহণ করতে পারি। 

এতোক্ষণ আপনাদের মাঝে বক্তব্য দিয়েছি। হয়তো অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে। সকলে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। হয়তো ভবিষ্যতে আরো ভালোভাবে বক্তব্য দিতে পারব। আমি আর কথা বারাবো না। স্যার আপনাদের কখনো ভুলতে পারবো না। আশাকরি আপনারাও আমাদের মনে রাখবেন। এই বলে আমি আমার বক্তব্য এখানেই সমাপ্ত করছি। 

আশাকরি উপরের লেখা পরে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে কোন স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য কিভাবে দিতে হয়। আশাকরি এখন আপনি ভালোভাবেই বক্তব্য দিতে পারবেন। 

সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:

সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য

অনেকই আছেন যারা সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য দিতে চান কিন্ত ভালোভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না। তাই নিচে আমরা সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য কিভাবে দিতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো। 

সহকর্মীর বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য:

প্রথমেই সম্মানিত সভাপতি, অতিথিবৃন্দ, ও আমার প্রাণপ্রিয় সহকর্মী ভাই ও বন্ধুরা সবাইকে আন্তরিক ভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনি আপনার বক্তব্য শুরু করবেন। 

এরপর সকলের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন যে আজ আমরা একটা বিশেষ কারনে সকলে এখানে উপস্থিত হয়েছি যা আমরা সকলেই জানি। আজ আমাদের মধ্য থেকে আমাদেরই এক সহকর্মী (তার নাম) দীর্ঘ দিন একসাথে কাজ করেছি। আজ তার কর্মজীবনের শেষের দিন। এতোদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করা, একসাথে খাবার খাওয়া, গল্প করা আর কোনোদিন হবেনা এসব কথা ভেবে চোখের জল আটকানোটা খুবই কষ্টকর। বিদায় জিনিসটা খুবই কষ্টকর, খুবই বেদনার। যেহেতু এটা একটা বিদায় অনুষ্ঠান, হয়তো আমাদের কর্মজীবনের যাত্রা এখানেই শেষ কিন্তু আমাদের মন থেকে চিরতরে বিদায় নেওয়া কখনও সম্ভব নয়।  

এটা ভেবে কষ্ট হয় যে (তার নাম) আর আগের মতো আমাদের মাঝে আসবেন না, একসাথে কাজ করবেন না। তবুও এটাই মানিয়ে নিতে হবে। একদিন আমাদেরও এরকম হবে। সেদিন এখানে দাঁড়িয়ে অন্য একজন বক্তৃতা দেবে আমার উদ্দেশ্য। এটাই এই দুনিয়ার নিয়ম পুরাতন চলে যাবে ও নতুনের আগমন ঘটবে। আমাদের যেমন (সহকর্মীর নাম) জন্য কষ্ট হচ্ছে (সহকর্মীর নাম) ঠিক তেমনি আমাদের জন্যও কষ্ট হচ্ছে। ওরার জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় এখানে কাটিয়েছেন। সকলের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলোর কথা ভেবে ( সহকর্মী নাম ) অনেক কষ্ট হবে। নিয়মে আমাদের হাত-পা বাধা যতোই আমরা ওনাকে আরো এখানে রাখতে চাই কিন্তু এটা আর সম্ভব নয়। 

এই কর্মস্থান থেকে আপনার বিদায় হলেও এই কর্মস্থানের প্রতিটি স্থানেই আপনার স্পর্শ থেকে জাবে সারাজীবন। আপনি যতোটা শ্রদ্ধার সাথে এখানে কাজ করেছেন, আপনাকে দেখে আমরা সকলে অনুপ্রানিত হই। আপনার সহকর্মী হতে পেরে আমরা গর্ববোধ করি। 

আপনাকে বিদায় দেওয়ার কষ্টের পাশাপাশি এটা ভেবে আনন্দও হচ্ছে যে আপনি আপনার পরিবারের কাছে ফিরে গিয়ে তাদেরকে আরো অনেকটা সময় দিতে পারবেন যেটা হয়তো আগে দিতে পারতেন না। 

(তার নাম) আপনি যেমন ছিলেন একজন ভালো কর্মী তেমনিভাবে ছিলেন একজন ভালো মানুষ। আপনি আপনার কাজের পাশাপাশি অনেক ধর্মীয় ও বাস্তব জীবনে কাজে লাগে এমন অনেক কথা বলতেন। এটা ভেভে লজ্জা লাগে যে প্রথম দিকে (তার নাম) আপনার কথাগুলো অতোটা ভালো লাগতো না বিরক্তিকর লাগতো। কিন্তু ধিরে ধিরে বুঝতে পারি যে আপনি কতোটা দরকারী কথা বলতেন, সত্যি কথা বলতেন। আমি আপনার কাজ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। শুধু আমি নয় অনেকেই আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। যা বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে অনেক উপকৃতও হতে পেরেছি। বর্তমান সময়ে (তার নাম) ( সহকর্মী নাম )  মতো একজন বিশ্বস্ত কর্মী পাওয়া খুবই দুর্লভ ব্যাপার। তবুও আমাদের এটাকেই মানিয়ে নিতে হবে। এখানে যতো কর্মীগন উপস্থিত আছেন ও আমাদের শ্রদ্ধেয় সভাপতি ও অতিথিবৃন্দ যারাই আছেন আমার বিশ্বাস ( সহকর্মী নাম )  ব্যাপারে সুনাম বলবেনা এমন কেউ নেই। ( সহকর্মী নাম )  মতো একজন সৎ মানুষ সকলেই খোজ করেন। 

আসলে এখানে বক্তব্য দেওয়ার মতো কিছু নেই। এখানে সকলেই (তার নাম) ( সহকর্মী নাম )  ব্যাপারে জানেন। জানেন যে উনি কতোটা ভালো মানুষ। উনি সবসময়ই চেয়েছেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করতে। আজ আমাদের প্রতিষ্ঠান যে উন্নতির শিখরে উঠতে পেরেছে শেখানে অনেকটাই ( সহকর্মী নাম )  অবদান রয়েছে। করোনা মহামারীর সময় যখোন আমাদের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পরেছিলো তখন উনিই নিরলস পরিশ্রম করে আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানকে দ্বার করিয়েছে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক কর্মী আছেন যারা করোনা মহামারীর সময় ঠিকমতো অফিসেও আসেননি কিন্তু (তার নাম) উনি এই সময়েও ওফিসে এসে কাজ করে গেছেন। যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু অন্য সকল কর্মীর মধ্যে এমন কোন মনভাব ছিল না। (তার নাম) উনি ছিলেন আমার সহকর্মী কিন্তু উনি সবসময় আমাকে নিজের ছোট ভাইয়ের মতোই দেখত। কোন কাজে সমস্যা হলে আমাকে সাহায্য করত। আমি প্রথম যখন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করি তখন উনিই আমাকে সব কাজ দেখিয়ে ও শিখিয়ে দিয়েছিলো যা এখনো আমার ভালোমতোই মনে আছে। যেখানে নতুন কোন কর্মী এলে সবাই তাকে দিয়েই সব কাজ করাতো সেখানে (তার নাম) উনি আমাকে আরো কাজে সাহায্য করত। 

সুধু অফিসের কাজেই নয় পারিবারিক অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সময় আনেক ঝামেলায় আটকে যেতাম এবং ( সহকর্মী নাম )  কাছে এসে বল্লে খুব সহজেই নিমিষের মধ্যেই সমস্যার সমাধান বের করে দিত। এছারাও আমি অনেকবার টাকার সংকটে পড়েছি কিন্তু প্রত্যেকবারই উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। আমার যদি ওনাকে টাকা ফেরত দিতে দেরিও হতো তাতেও কিছু বলতেন না উনি। আমি ছাড়াও অনেককেই অনেক ভাবে সাহায্য করেছেন উনি যার কোন তুলনা হয়না।

বর্তমান সময়ে এমন বড় মনের একটা মানুষ সকলেই প্রত্যাশা করেন। সততা এবং চারিত্রিক দিক দিয়ে (তার নাম) উনি সকলের কাছেই প্রিয়। ( সহকর্মী নাম )  কাছ থেকে আমরা অনেকেই অনেক শিক্ষা লাভ করতে পেরেছি। বিশেষ করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জানা খুবই দরকাছি এমন অনেক কথাই আমরা ( সহকর্মী নাম )  কাছথেকে জানতে পেরেছি। আগে আমরা কাজের অবসর সময়ে যখন সু্যোগ পেতাম তখনই ( সহকর্মী নাম )  কাছ থেকে এসব বিষয়ে জানতে যেতাম। উনিও কখনো এই কারনে কারো উপর অখুশি হতেন না। সকলে যেমন ওনাকে পছন্দ করত উনিও তেমনিভাবে আমাদের সবাইকে পছন্দ করত। কেউ কাজে ফাকি দিলে তাকে বুঝাতো তাকে বন্ধুর মতো বুঝিয়ে কাজ করার জন্য বলত। ( সহকর্মী নাম )  ব্যাপারে যত কথাই বলি শেষ হবার নয়। ( সহকর্মী নাম )  ভিতরে না ছিলো কোন ছল, না ছিলো কোন কপটতা। ( সহকর্মী নাম )  মত একজন করে ব্যাক্তি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দরকার। 

(তার নাম) উনি যেমন ছিলো সকলের প্রিয় তেমনি ভাবে উনিও আমাদের সকলকে ভালোবাসতেন। উনি হয়তো আজ আমাদের মাঝ থেকে ( সহকর্মী নাম )  কর্মের সমাপ্তির কারনে চলে জাবেন। কিন্তু উনি আমাদের হৃদয়ে থেকে যাবে সারাজীবন। ( সহকর্মী নাম )  মতো একজন ভালোমানুষকে সকলেই পছোন্দ করে।( সহকর্মীর নাম) চলে গেলেও ( সহকর্মী নাম )  স্মৃতি এই প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে আজীবন। হ্যা উনি চলে গেলে ( সহকর্মী নাম )  জন্য সকলেরই কষ্ট হবে ঠিকই কিন্তু এটাকে মানিয়ে নিতে হবে। উনিও ( সহকর্মী নাম )  পরিবারের কাছে গিয়ে তাদেরকে আরো বেশি সময় দিতে পারবে। উনি যাওয়ার পর আমরা সকলেই চেষ্টা করবো ( সহকর্মী নাম )  দ্যাখানো পথ অবলম্বন করতে। ( সহকর্মী নাম )  মতো একজন ভালো, সৎ ও গুনি মানুষ হওয়ার চেষ্টা থাকবে সকলেরই। যে যখন বলছে উনি সবাইকে সহায্য করেছে, অন্যের বিপদে উনি ঝাপিয়ে পড়েছে, সবসময় অন্যের ভালো চেয়েছেন। তাই আমরা সকলে এই কামনা করি যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ( সহকর্মী নাম )   বিদায় নেওয়ার পর নতুন যে কর্মী আসবে সেও যেন ( সহকর্মী নাম )  মতই সৎ, গুনী, ও বড় মনের মানুষ হয়। 

আমি আর বেশি কথা বারাবো না। আমার বক্তৃতা প্রায় শেষের দিকে। (তার নাম) আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। আমরা সকলেই আপনার জন্য সবসময় দোয়া করব। আপনার কথা কোনদিন ভুলতে পারবো না। 

আমার বক্তব্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। (তার নাম) আপনি ভালো থাকবেন আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য সবসময় দোয়া করবেন। আশা করি আপনি আপনার পরিবারের সাথে ভালো থাকবেন। এই বলে আমি আমার বক্তৃতা সমাপ্ত করছি। 

শেষকথা :

আশা করি বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! 

Leave a Comment