এম এম কিট ( mm kit ) খাওয়ার পরেও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন ?

এম এম কিট ( mm kit) খাওয়ার পরেও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন ?

গর্ভধারণের আলোচনায় আসলে প্রেগনেন্সি টেস্ট কেন করতে হয় তা জানা প্রয়োজন। কারণ গর্ভধারণের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে  শুরু হয়ে যায় গর্ভবতী মহিলার শরীরে একটি নিশ্চিত রকম হরমোনের উৎস। একজন মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তার শরীরে একটি নির্দিষ্ট হরমোন উৎপন্ন হয়ে থাকে, যা গর্ভকালীন সময়ে তার গর্ভধারণের জন্য উপযোগী হয়। তবে এই হরমোনটি যখন একবার বা একাধিক বার মেয়ের শরীরে উপস্থিত হয় তখন তার প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হয়ে থাকে।

mm kit খাওয়ার পরও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন ?

প্রেগনেন্সি টেস্ট কী?

প্রেগনেন্সি টেস্ট হল একটি মেডিকেল টেস্ট যা একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়া সন্দেহভাজনক কি না তা নির্ধারণ করতে  ব্যবহার করা হয়। 

প্রেগনেন্সি টেস্ট কী?

প্রেগনেন্সি টেস্ট হল একটি মেডিকেল টেস্ট যা একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়া সন্দেহভাজনক কি না তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়। এই টেস্টটি মূলতঃ হরমোনের উপর ভিত্তি করে করা হয়ে থাকে। প্রেগনেন্সি টেস্টে একটি মনিটর ব্যবহৃত হয় যা হরমোনের স্তর নির্ধারণ করা হয়। একটি নরম স্পঞ্জ দ্বারা স্ত্রীর নিচের অংশ থেকে একটি নমুনা নেওয়া হয় এবং সেখানে টেস্টটি পরিচালিত হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট হরমোন উপস্থিত থাকলে টেস্টটি পজিটিভ হয়।

এম এম কিট কী?

এম এম কিট একটি মুখ্যতঃ হরমোন টেস্ট কিট। এটি সাধারণত একজন মহিলার মূল্যায়ন করতে  ব্যবহার করা হয়, যার   ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নির্ধারিত হয়। এম এম কিট সম্পর্কে অনেকে কিংবা জানে না যে এটি কি এবং কেন এটি করা হয়ে থাকে। এম এম কিটের পূর্বনির্ধারিত উদ্দেশ্য হল গর্ভবতী মহিলার শরীরে পাওয়া হরমোন এসিড লেভেল নির্ধারণ করা  হয়। একজন মহিলার শরীরে এই এসিড লেভেল প্রস্তুত হয় যখন তিনি গর্ভবতী  হবে। এম এম কিটের মাধ্যমে হরমোন এসিড লেভেল নির্ধারণ করে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নির্ধারণ  করে থাকে।

mm kit খাওয়ার পরও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন ?

এম এম কিট খাওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হলে এর কারণ হতে পারে বিভিন্ন কারণের মধ্যে এক বা একাধিক কারণ হতে পারে। এম এম কিটে ব্যবহৃত হওয়া হরমোন এসিড লেভেল বিভিন্ন কারণে হাই হয়ে যেতে পারে, যা একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার সন্দেহভাজনক কারণ  হয়।  তাছাড়া কোনও ব্যাপারে ত্রুটি হলে প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হতে পারে।

 যেমন , করোনা ভাইরাসের সময় এম এম কিট ব্যবহৃত না হওয়ার কারণে এই টেস্টের ফল পজিটিভ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও প্রয়োজনে গর্ভবতী মহিলার শরীরে হরমোন এসিড লেভেল  বেড়ে যেতে পারে না, তবে পরিবর্তে তার লেভেল নিম্ন হতে পারে। এমনকি প্রয়োজন অনুযায়ী না হলেও কোনও একটি পজিটিভ ফল দেওয়া হলে প্রথমতঃ একটি রেপোর্ট করা প্রয়োজন ।

বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রেগনেন্সি টেস্ট। একটি পরিবারে নতুন সদস্যের স্বাগতও হয় না পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সে সুস্থ আছে কিনা। প্রেগনেন্সি টেস্ট মূলত স্ত্রীদের জন্য একটি টেস্ট যা জন্ম দেয়ার পূর্বে করে থাকে। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে পরিকল্পনা করা না হলে এটি স্বাভাবিক হয় । এই লিখার ফলে আমরা জানবো mm kit খাওয়ার পরও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন।

প্রেগনেন্সি টেস্টের বিভিন্ন প্রকার

সাধারণত প্রেগনেন্সি টেস্ট দুই প্রকার হয়। প্রথমত, হোম টেস্ট যা দাম কম হয়ে থাকে এবং সহজেই বাসা থেকেই করা যায়। এই টেস্টটি  করতে খরচ কম হয়। দ্বিতীয়ত, ল্যাব টেস্ট যা হাসপাতালে বা ল্যাবে করা হয়, এই টেস্ট টি করতে একটু খরচ বেশি হয়। 

এম এম কিট ব্যবহার করার উপযোগিতা

এম এম কিট ব্যবহার করা মহিলাদের জন্য খুব প্রয়োজন হতে পারে। গর্ভধারণের আগে প্রয়োজন হয় পাবরেটি টেস্ট এবং এম এম কিটের মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয়। এম এম কিট ব্যবহার করে গর্ভবতী মহিলার মধ্যে হরমোন এসিড লেভেল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ।

কিছু প্রশ্নের উত্তর

১. এমএম কিট কোন কাজ করে?

এমএম কিট একটি টেস্ট কিট, যা গর্ভবতী মহিলাদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলতঃ ঘরে বসে করা যায় এবং টেস্ট ফলাফল  সহজেই পাওয়া যায় ।

২. কতক্ষণ পর পর এমএম কিট ব্যবহার করা যায়?

গর্ভবতী মহিলার রক্তে হরমোন লেভেল পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং এমএম কিটের ফলাফল ভিন্ন হতে পারে। তাই একটি পরিবর্তন ঘটলে অন্যটি দুই দিন পর পর ব্যবহার করা উচিত হবে।

৩. এমএম কিট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

 

tag: mm kit খাওয়ার পরও প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে কেন ?

 

Leave a Comment